দেশের সীমান্তবর্তী ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলোতে এবং দেশের অভ্যন্তরে অতিভারী বর্ষণের কারণে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের বড় ধরনের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ওই সব রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হলে।
ইতোমধ্যে তিস্তার পানি বাড়ায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে সিকিম। দেশের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জারি করেছে সতর্কতা।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায় শনিবার (৩১ মে) জানিয়েছেন, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই, সোমেশ্বরী ও মনু নদী-নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময়ে নদীগুলোর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও মৌলভীবাজার জেলার ওই নদীগুলোর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীগুলোর পানি সমতল আগামী পাঁচ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী দুই দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
ইইউডি/এমজেএফ