ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

কয়েক মুহূর্তে যমুনার গর্ভে বিলীন হলো শতাধিক বাড়ি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩
কয়েক মুহূর্তে যমুনার গর্ভে বিলীন হলো শতাধিক বাড়ি 

বগুড়া: বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ভাঙনের কবলে পড়ে নিমিষে শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ পয়েন্টে নদীর পানি রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ৩৬ মিটার (বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ২৫ মিটার)।

জানা যায়, সারিয়াকান্দির হাসনাপাড়া স্পার হুমকির মুখে পড়েছে। সেখানে ৬৫ ফুট মাটির স্যাংক (ঢাল) দেবে গেছে। এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চর প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে এক নিমিষে শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির জানান, যমুনার পানি বাড়ায় হাসনাপাড়া স্পার হুমকির মুখে পড়েছে। স্পারের তলদেশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ৬৫ ফুট মাটির স্যাংক দেবে গেছে। স্পারের দেবে যাওয়া অংশে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত বোহাইল, কাজলা, কর্নিবাড়ি ও চালুয়াবাড়ি ও কামালপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ পাঁচ ইউনিয়নের অনেক বাড়ি বন্যার কারণে ভেসে গেছে। এছাড়া কামালপুরে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে ইছামারা পয়েন্টে প্রবল ভাঙনে শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন মোকাবিলায় সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে৷

কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাছেদুজ্জামান রাসেল জানান, ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শতাধিক বাড়ি এক নিমিষে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব বাড়ির লোকজন কোনোমতে প্রাণ নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে, টাকা, খাবার, বালিশ, কাঁথা, কাপড়-চোপড়সহ কোনো কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে তারা, এখন পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, যমুনার পানি বাড়ায় ১৫ হেক্টর জমির আমন (স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধান), দুই হেক্টর জমির বীজতলা ও এক হেক্টর জমির সবজি তলিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩
কেইউএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।