ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

বিকেলে কক্সবাজার অতিক্রম করবে মোখা, আশ্রয়কেন্দ্রে আড়াই লাখ মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
বিকেলে কক্সবাজার অতিক্রম করবে মোখা, আশ্রয়কেন্দ্রে আড়াই লাখ মানুষ

কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ রোববার (১৪ মে) বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেতে কক্সবাজারে ৭ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ।

এছাড়াও হোটেল-মোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন আরও অর্ধলাখ।

রোববার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা মো. বশির উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘রোববার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জেলার ৭ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু লোক সকালে নিজ নিজ বাড়িঘর দেখে আসার জন্য গেছেন। তারাসহ আরও লোকজন ফিরবেন এসব আশ্রয়কেন্দ্রে। ’

এদিকে, কক্সবাজার সমুদ্রে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত অপরিবর্তিত রেখেছে আবহাওয়া অফিস।  

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ’

তিনি আরও বলেন, মোখা আরও ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কি.মি. গতিবেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

এছাড়া অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।  

অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে মেডিক‌্যাল দল, কোস্ট গার্ড, নৌ-বাহিনী, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক দল, স্কাউট দল, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলো কাজ করছে।  

এছাড়া জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮ হাজার ৬০০ জন এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ২ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সেন্টমার্টিনে নেভি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ ও অন্যান্য মিলিয়ে ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তাই সরকারি স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। সেখানে ওই দ্বীপের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন। ’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ চলাকালীন ২০ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৫.৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩.৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩.৪ মেট্রিক টন ড্রাই কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এসবি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।