ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বাজেট

আসছে বিসিসির বাস্তবায়নমুখী বাজেট, বাড়তে পারে পরিসর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
আসছে বিসিসির বাস্তবায়নমুখী বাজেট, বাড়তে পারে পরিসর

ব‌রিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হবে আগামী ৩১ জুলাই। যা বিসিসির চতুর্থ পরিষদ এবং মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রথম বাজেট ঘোষণা।

বাজেটকে ঘিরে এরইমধ্যে নগরবাসীর মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি হয়ে গেলেও চমকপ্রদ বহু বিষয় থাকবে বাজেটে এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বর্তমান পরিষদের কাছ থেকে। তবে নতুন করে কোনো করারোপ থাকছে না ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে।

তবে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার কেমন হবে তা এখনি প্রকাশ না করলেও ‘স্বপ্ন বিলাসী’ কোনো বাজেট হবে না বলে জানিয়েছেন নগর ভবনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু।  

তিনি মেয়রের বরাত দিয়ে জানান, বাজেটে অনেকগুলো সুখবর ও চমক রয়েছে নগরবাসীর জন্য। এতে গুরুত্ব পাবে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, দখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার এবং খনন। আর নগরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে আসন্ন বাজেটে।  

বেলায়েত হাসান বলেন, মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে কোনো বাজেট আসবে না বলে নিশ্চিত করেছেন মেয়র। নগরবাসীর যা দরকার হবে তা নিয়েই আসন্ন বাজেট।

এদিকে, নগরভবন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে নগরভবন কেন্দ্রিক সেবার মান যেমন বেড়েছে, তেমনি নাগরিক জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নানা কর্মকাণ্ড জোরেসোরে এগিয়ে চলছে। বর্তমানে সিটি করপোরেশনে কোনো ধরনের কর্মচারী অসন্তোষ বিরাজ করছে না। পাশাপাশি কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতনও নেই। বেড়েছে কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। যা বর্তমান মেয়রের সবচেয়ে বড় অর্জন বলতে চান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  

নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক শাখার দায়িত্বরতরা।

এর আগে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছর অর্থাৎ সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ঘোষিত শেষ বাজেটের আকার ছিল ৪০৬ কোটি টাকার একটু বেশি। আর চলতি বাজেট বাস্তবায়নমুখী হওয়ায় আকার অনেক বাড়বে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিগত অর্থবছরে কর আদায় শাখায় গৃহকর আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৪ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫৯ টাকা। আদায় হয় ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৪ টাকা। আদায়ের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়। আদায়ের হিসাবে এ হার ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের চেয়ে বেশি।  

অপরদিকে নগর ভবনের যানবাহন শাখার সুপারিনটেন্ড মাইনুল ইসলাম মানিক জানিয়েছেন, বর্তমানে ৭ হাজার ৪১০টি লাইসেন্সধারী যানবাহন রয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৬১০টি হলুদ অটো, প্যাডেল রিকশা ৪ হাজার ৫০০টি এবং ভ্যান ৩০০টি।  

ট্রেড লাইসেন্স শাখা সূত্রে জানা গেছে, বিগত অর্থবছরে ট্রেড লাইসেন্স মারফত আয় হয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৫২ টাকা। মোট লাইসেন্স রয়েছে ৯৩৫২টি। যার মধ্যে নবায়ন হয়েছে ৬ হাজার ৭৭৬টি এবং নতুন লাইসেন্স হয়েছে ২ হাজার ৫৭৬টি। আর বর্তমান অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) চলতি মাসে সাড়ে ৭শ’ লাইসেন্স এখন পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। আবেদন পড়েছে অসংখ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।