ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট চায় এফবিসিসিআই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০১ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৭
ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট চায় এফবিসিসিআই

ঢাকা: ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট ছাড়া দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশকে আরও সমৃদ্ধ ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে বাজেটকে হতে হবে এমন। কেননা এছাড়া দেশীয় শিল্পের বেঁচে থাকা ও বিকাশ সম্ভব নয়। এজন্যই এফবিসিসিআই চায় আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট হোক ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)-এর পক্ষ থেকে একটি বাজেটপ্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রস্তাব হচ্ছে:

করপোরেট করহার কমানো, দেশীয় শিল্পের স্বার্থে শিল্পের মৌলিক কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর বা এআইটি প্রত্যাহার, পোশাকসহ সব রপ্তানি পণ্যে উৎসে কর ০.৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫ শতাংশে ধার্য করা, দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বর্ধিত হারে উৎপাদন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে বর্তমানে শুল্কস্তর ১%, ৫%, ১০%, ১৫% ও ২৫% অব্যাহত রাখা, ট্যারিফ শিডিউলে ৩১২টি পণ্যের ওপর যে শুন্য শতাংশ শুল্ক আছে, আগামী অর্থবছরেও তা অব্যাহত রাখা, ৪৭টি পণ্যের ক্ষেত্রে যে স্পেসিফিক ডিউটি নির্ধারণ করা আছে তা অব্যাহত রাখা, আগামী বাজেট অধিবেশনে শুল্কআইন পাশ করা, বর্তমানে যে সকল পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা আছে তা অব্যাহত রাখা, ব্যবসায়ী পর্যায়ে বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে টার্নওভারের পরিমাণ নির্বিশেষে ২ শতাংশ হারে মূসক আরোপ।


 
আগামী বাজেট উপলক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন,একটি দেশের উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই ব্যবসা, বিনিয়োগ, শিল্প ও  পুঁজিবাজার-বান্ধব বাজেট হওয়া প্রয়োজন। বাজেট শুধু করলেই হবে না। সামগ্রিক বিষয়ের দিকে বাজেট প্রণেতাদের নজর রাখতে হবে। এমন বাজেট কাম্য নয়, যে বাজেট দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
 
বাজেট প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বাংলানিউজকে বলেন, সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দেওয়ার যোগ্যতা আর্থিক অর্জন করেনি। যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার কম তাদের ভ্যাটের আওতার বাইরে রাখা অথবা ২ বা ৩ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। কেননা কোনো শিল্পকে ধ্বংস করে অতি-উচ্চাভিলাষী বাজেট কাম্য নয়। আমরা একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট চাই। যে বাজেটে দেশের ব্যবসা খাত সুবিধা পাবে আমরা তেমন বাজেটই প্রত্যাশা করছি। আশা করছি, সরকার ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট করবে।

এফবিসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আগামী বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ববোর্ড ( এনবিআর) –এর সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনা হয়েছে। যে আলোচনায় প্রতিবারই ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেটের কথা বলা হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও একটি বাজেটের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সবসময় সরকারকে মনে রাখতে হবে, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে বাজেট বাস্তবায়ন করা উচিত। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিবছরই একটি বাজেটের প্রস্তাব নেওয়া হয় কিন্তু শেষে দেখা যায় ফলাফল শূন্য। এবার অন্তত আশা করব সরকার ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট করবে।  

ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক  ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক আবু মোতালেব বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আলোচনা হয়। সেখানে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে করে উল্টো হুমকি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আমরা যুদ্ধ চাই না। সুন্দর একটি বাজেট চাই। যে বাজেটে ব্যবসায়ীরা সুবিধা পাবে। যে বাজেটে ব্যবসায়ীদের সুবিধা নেই ব্যবসায়ীরা তেমন বাজেট চায় না। ব্যবসায়ীরা কখনো চায় না দেশের শিল্প ধ্বংস হয়ে যাক আর বিদেশি শিল্প দেশের মার্কেটে রাজত্ব করুক। তাই সরকারের উচিত ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট করা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এসজে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।