ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

সেকেন্ড হোম নয়, সমৃদ্ধ হোক দেশীয় আবাসন খাত

অন্তু মুজাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৭
সেকেন্ড হোম নয়, সমৃদ্ধ হোক দেশীয় আবাসন খাত

ঢাকা: উচ্চহারে সুদ, বাড়তি রেজিষ্ট্রেশন ফি’র কারণে বিনিয়োগকারীরা দেশীয় আবাসন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন। অন্যদিকে, দেশে বিনিয়োগের পরিবর্তে বিদেশে ‘সেকেন্ড হোম’ গড়ছেন অনেকেই। ফলে বড় ধরনের বিনিয়োগ হারাচ্ছে দেশীয় আবাসন খাত।

উপার্জিত অর্থ দেশীয় শিল্পে বিনিয়োগের পরিবেশ ও সুযোগ না পেয়ে তারা বিদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন।   প্রতি বছর এভাবে পাচার হচ্ছে হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় অর্থ পাচার রোধ ও আবাসন খাতকে রক্ষায় আগামী (২০১৭-১৮) বাজেটে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে আবাসন খাতের সর্ববৃহত সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
 
এসব প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সিঙ্গেল ডিজিটে সুদে দীর্ঘমেয়াদী রি-ফাইন্যান্সিং চালু করে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, ফ্লাট ও প্লট রেজিষ্ট্রেশন ফি ও  কর সাত শতাংশে নামিয়ে আনা, অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ, নির্দিষ্টি সময় পর্যরন্ত মূল্য সংযোজন কর হ্রাস করা এবং নতুন করে করারোপ না করা।

এছাড়াও গৃহায়ন শিল্পের উদ্যোক্তাদের আয়কর হ্রাস, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা অনুযায়ী গেইন ট্যাক্স ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে চার শতাংশ করা, রাজউক ও সিডিএ’র আওতাভূক্ত ও বহির্ভুক্ত এলাকায় সকল জমির ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার, ক্রেতা- জমির মালিক ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে সংকট থেকে উত্তরণের জন্য অসমাপ্ত প্রকল্পে বিশেষ ঋণের প্রচলন, সাপ্লায়ার ভ্যাট ও উৎস কর সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে ৫ বছরের জন্য ডেভেলপারদের অব্যাহতি দেয়া। বিকেন্দ্রীকরণ, নগরায়ন পরিপার্শিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শহরে ৫ বছর এবং বাইরের এলাকার জন্য ১০ বছরের জন্য ‘ট্যাক্স হলিডে’র মাধ্যমে উৎসাহিত করাসহ নামমাত্র রেজিস্ট্রেশন ব্যয় নির্ধারণ করে আবাসন খাতে সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থার প্রচলন করা।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিহ্যাবের ভাইস চেয়ারম্যান ও মিডিয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির কো- চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের কাছে আমাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। আবাসন খাতকে এগিয়ে নিতে ও মধ্যবিত্তদের জন্য নিজস্ব ফ্লাট নিশ্চিত করতে এই প্রস্তাবনাগুলোর বাস্তবায়ন জরুরি।

তিনি বলেন, আসছে বাজেটে এই প্রস্তাবনা বিবেচনা করা হলে, আগামী বাজেট হবে আবাসন খাত বান্ধব।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এএম/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।