ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

বাজেটে নারীর জন্য ৯২৭৬৫ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৬
বাজেটে নারীর জন্য ৯২৭৬৫ কোটি টাকা

ঢাকা: মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে নারীর উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ২৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (০২ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন।

জাতীয় সংসদে অষ্টম বারের মতো এবারেও উপস্থাপন করা হলো জেন্ডার বাজেট। ৪০টি মন্ত্রণালয়ই এই বাজেটের অর্ন্তভুক্ত। যেখানে জিডিপির শতকরা হার ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৪টি মন্ত্রণালয়কে অর্ন্তভুক্ত করে জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করা হয়।

এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জেন্ডার বাজেটে নারী উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৭১ হাজার ৮৭২ টাকা। যা ছিল মোট বাজেটে ২৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এবারের জেন্ডার বাজেটে উপস্থাপিত মোট ৪০টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে তিনটি গুচ্ছে ভাগ করা হয়, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শ্রমবাজার ও আয়বর্ধক কাজে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ এবং সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে নারীর সুযোগ বৃদ্ধি।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিবিএস-এর হিসেবে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে শ্রমশক্তিতে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৪৭ লাখ নারী-পুরুষ। এ সময়ে নারী পুরুষের মজুরি ব্যবধান কমেছে। তবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কর্মক্ষম জনশক্তির অংশহগ্রহণের হার এখনও অনেক কম। বিশেষ করে, পুরুষের অংশগ্রহণের হার আশানুরূপ হলেও কর্মক্ষম নারীর অংশগ্রহণের হার তুলনামূলকভাবে কম।

তিনি বলেন, বর্তমানে মাত্র ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ নারী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত রয়েছেন। নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে প্রবৃদ্ধি অনেকখানি ত্বরান্বিত হবে। এক হিসেবে দেখা গেছে, আগামী ৫ বছরে নারীদের অংশগ্রহণ ১০ শতাংশ বাড়ানো গেলে এ থেকেই বছরে অতিরিক্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় ১ শতাংশ।

মন্ত্রী আরও জানান, ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কর্মজীবী হোস্টেল নির্মাণ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন, সাতটি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠার জন্যে কাজ করছে সরকার।

এছাড়াও দক্ষতা উন্নয়ন ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ঋণ ও অগ্রাধিকারভিত্তিক পল্লী ও কৃষিঋণ বিতরণ, ‘জয়িতা’র কার্যক্রম সম্প্রসারণের মতো উদ্যোগগুলো চলবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৬
এমএন/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।