ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৬
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা

ঢাকা: শিক্ষার সুষম সুযোগ বাড়নোর জন্য নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পাশাপাশি শিক্ষা সহায়তায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন।

 
 
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়নে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছি।  তাই সামগ্রিক শিক্ষাখাতের ব্যয়কে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এ খাতের উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
 
শিক্ষা সহায়তায় বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবসর সুবিধা বোর্ড’র অনুকূলে ৫০০ কোটি টাকার এনডাওমেন্ট ফান্ড এবং ১০০ কোটি টাকা এককালীন অনুদান প্রস্তাব করছি। আর ‘বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্টে’ ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন মুহিত।  
 
প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নানা পরিকল্পনার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
 
সব প্রাথমিকে প্রাক-প্রাথমিক চালুকরণসহ কারিকুলাম প্রণয়ন, বই মুদ্রণ এবং প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করার কথা জানান তিনি। আরও প্রায় ৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণের কথা বলেছেন মন্ত্রী।  
 
প্রাথমিক শিক্ষা ২০১৮ সালের মধ্যে অষ্টম শ্যেণিতে উন্নীত করতে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে ৭৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি চালু করা হয়েছে।  
 
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, শিক্ষক নিয়োগ-প্রশিক্ষণ, বিদ্যালয়-প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন অব্যাহত থাকবে বলে জানান মুহিত।  
 
এছাড়া ভর্তির হার বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধরে রাখার জন্য উপবৃত্তির পাশাপাশি স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের সম্প্রসারণ এবং বেসরকারি ও ব্যক্তিখাতকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য জাতীয় স্কুল ফিডিং নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।  
 
নিরক্ষরতা মুক্তের জন্য ১৫- ৪৫ বছর বয়সি নিরক্ষর জনগণকে মৌলিক স্বাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাখাতে একটি সেক্টর কর্মসূচি প্রণয়ণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
 
৬৩ হাজার শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য বিদ্যালয় নির্মাণ কাজে ব্যক্তিখাতে উদ্যোগ বাঞ্চনীয় জানিয়েছেন মন্ত্রী। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জরাজীর্ণ বিদ্যালয় সংস্কারের ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।  
 
তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড হতে বৃত্তি প্রদানসহ গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এবং দুঃস্থ শিক্ষকদের এককালীন অনুদান দেওয়া অব্যাহত থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য অটিস্টিক একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া শিক্ষা অবকাঠামোর ডিজাইনে প্রতিবন্ধীদের যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।  
 
উচ্চ শিক্ষা প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতোমধ্যে কয়েকটি বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হযেছে। এছাড়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও কারিগরি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।  
 
এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মোট ২৬ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকার মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ২০ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ৬ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ২০ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ১৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।  
 
আর প্রাথমিক স্তরে এবার মোট ২২ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এরমধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ১৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ১৬ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ১১ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।