ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

বাজেটকে উচ্চাভিলাসী বলছে না সিপিডি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
বাজেটকে উচ্চাভিলাসী বলছে না সিপিডি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাজেটকে উচ্চাভিলাসী, অবাস্তব, আকারে বড়, এমনটা বলছি না। ২০১৫-১৬ বাজেট নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ’র (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।



জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনকালে বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) রাজধানীর লালমাটিয়ায় সিপিডি কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটে আর্থিক কাঠামোর আকার বিচার করে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করে আয় সংস্থান করা হয়েছে। এ আয় সংস্থান করতে গিয়ে আয়ের উৎসে অবাস্তব ধরনের প্রাক্কলন করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, রাজস্ব আয় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। অথচ গত দু’বছরে ১০ শতাংশের ভেতরে গড়ে এটা বৃদ্ধি পায়নি। আমাদের হিসেবে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। কারণ উনি যেহেতু সংশোধিত বাজেটের ওপরে প্রাক্কলন করেছেন, সংশোধিত বাজেটের চেয়ে বাস্তবে কম হবে। সেহেতু কমের ওপর যদি আমরা প্রাক্কলনটা করি তাহলে এটা ২৭ থেকে ৩৫ এ চলে যাবে।

তিনি বলেন, বাজেটের যে স্ফীতি, বাস্তবসম্মত পরিসংখ্যান ভিত্তিতে যৌক্তিক মনে হচ্ছে না। এ বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে পদক্ষেপ তাও দেখছি না।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, আগামী বছরের বাজেটের চেয়ে গত বছরের বাজেটের মূল্যায়নটা বা শেষ ফলাফলটা কি সেটা বেশি দরকার। বাস্তবায়নের চিত্র দরকার। বিগত বাজেটের প্রতিশ্রুতি কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে সেটার কথা নেই। প্রায়শ অর্থমন্ত্রী গত ৫/৭ বছরের হিসাব দেন। কিন্তু গত বছরের অর্জনটা কি সেটা দেন না। যেমন গত বছরে ইকো ট্যাক্স’র কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটার হিসাব পাওয়া যায়নি। বলা হয় বাজেটের আয়তন বেড়েছে। যদিও জিডিপি’র আয়তনের তুলনায় খুব একটা শতকরা হারে বাড়ে না। মোট ব্যয়ের ক্ষেত্রে শতকরা ১৭ ভাগের বেশি পার্থক্য দেখছি। আয়ের ক্ষেত্রে  ১৬ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি তফাৎ দেখছি। ঘাটতির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পার্থক্য রয়েছে বলে মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তবে ন্যূনতম আয়ের যে করারোপ তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গত বছর থেকে এ দাবি জানিয়ে আসছিল সিপিডি। ব্যক্তি ও করপোরেট পর্যায়ে করের হার, সম্পদের ওপর সারচার্জ নির্ধারণ নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছি না। শিশু বাজেটও ইতিবাচক।

তবে জেলাভিত্তিক বাজেট না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে সিপিডি। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীর অবসর ভাতা ও গ্র্যাচুইটির ওপর করারোপকেও গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।

বাজেট নিয়ে সিপিডি’র মতামত শুক্রবার (৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বলে জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫ আপডেট সময়: ২১১০ ঘণ্টা.
এমইএস/এটি/এএসআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।