ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

কৃষিতে ভর্তুকি নয় হাজার কোটি টাকা

বাজেট রির্পোর্টিং টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৪
কৃষিতে ভর্তুকি নয় হাজার কোটি টাকা

ঢাকা: কৃষি খাতে উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য সার, বীজ, সেচসহ কৃষি উপকরণে সহায়তার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত বাজেটে ৯ হাজার কোটি টাকা সহায়তা বা ভর্তুকি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরও একই পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া হয় এ খাতে।


 
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তার বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান। বিকাল তিনটা ৩৫ মিনিটে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন তিনি।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগের মতোই বর্গাচাষীদের জামানত ছাড়া কৃষিঋণ প্রদান অব্যাহত থাকবে এবং সহায়তা কার্ড দেওয়া হবে। এজন্য কৃষকের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। কৃষি খাতে আগের সকল সহায়তা অব্যাহত থাকবে। বীজ সরবরাহ বাড়ানো হবে। জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক প্রকৌশলকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রয়োজনে কৃষিভিত্তিক শিল্পকে উৎসাহিত করা হবে।

অর্থমন্ত্রী জানান, অর্থকরী ফসলের জীবন রহস্য আবিস্কারের মাধ্যমে লবন, খরা, জলমগ্নতা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের ধারাকে বেগবান করা হবে। কৃষি গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে সহনশীল রাখার জন্য দ্রুত প্রযুক্তি আবিস্কারে জোর দেওয়া হবে।
 
তিনি বলেন, আমরা বিগত সরকারের সময়ে কৃষি খাতের উন্নয়নে সারের দাম কৃষকের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের মধ্যে রাখা, কৃষি খাতে প্রণোদনা তৈরি, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড, ১০ টাকায় কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ইউনিয়ন ও ব্লক পর্যায়ে বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে সার বিতরণের কার্যক্রম গ্রহণ করি।
 
মন্ত্রী জানান, সমন্বিত এসব কার্যক্রমের সফলতায় অনুমিত সময়ের আগেই আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা খাদ্যগুদামের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। প্রয়োজনমতো টিআর, ভিজিএফ, ভিজিডি, কাবিখা কর্মসূচির মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ অব্যহত রেখেছি।
 
তিনি বলেন, এর ফলে ধারাবাহিক মঙ্গার হাত থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের দরিদ্র জনগণ রক্ষা পেয়েছে। কৃষি খাতের অর্জনকে টেকসই করা, কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করা, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ‘জাতীয় কৃষিনীতি’২০১৩’ প্রণয়ন করেছি।
 
প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা এবং ঘাটতি (অনুদান ছাড়া) ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। মূল এডিপি ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ ৪৩ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণ ১৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নের হার, বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণপ্রবাহ বাড়ার বিষয়ে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন।

এর আগে বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী অধিবেশনকক্ষে প্রবেশ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি উপস্থিত আছে।

এর আগে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।