ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বাজেট

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমেছে ৮১৮ কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমেছে ৮১৮ কোটি টাকা

ঢাকা: আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাজেট ৭ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার ৬১ কোটি টাকা।

অর্থাৎ, প্রস্তাবিত বাজেটে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমেছে ৮১৮ কোটি টাকা।

সেইসঙ্গে, আগামী অর্থবছরের বাজেটে গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এ আয়সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য তাদের আয়সীমা ৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উপস্থাপন করেন। সেখানেই এসব তথ্য জানান।

জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার যে ভাতা প্রদান করে আসছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) তৈরি করা হয়েছে। জি-টু-পি (সরকার থেকে ব্যক্তি) পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদান প্রক্রিয়ায় এ ডাটাবেজ ব্যবহার করা হচ্ছে।

এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি নিশ্চিত করার জন্য তাদের স্মার্ট কার্ড ও ডিজিটাল সনদ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি। আরও বলেন, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৫ হাজার নিবাস হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত্যুর পর প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধি একই নকশায় নির্মাণের কাজও চলমান আছে।

মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার ২৯৩টি উপজেলার ৩৬০টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ২৭১টি ঐতিহাসিক স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ১ হাজার ৬৬১ জন সদস্যের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে ‘বীরের কণ্ঠে বীর গাঁথা’ প্রকল্পের মাধ্যমে সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য রেকর্ডের জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বাজেট বক্তৃতায়।

এর আগে বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী মোট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি দেশের জন্য ৫২তম জাতীয় বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ মেয়াদের ২৪তম বাজেট। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই বাজেট পেশের মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন। এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম হচ্ছে ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।