ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

করোনার প্রভাবে বেশি বই প্রকাশের আভাস

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
করোনার প্রভাবে বেশি বই প্রকাশের আভাস পছন্দের বই খুঁজে নিচ্ছেন পাঠকরা | ছবি: শাকিল আহমেদ

বইমেলা: সারা বছর নীরবে-নিভৃতে কাটিয়ে বইমেলা উপলক্ষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেখক-প্রকাশকরা। তারপর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বই বের করেন তারা।

তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের বইমেলায় প্রথম থেকেই বইয়ের প্রকাশ বেশি হচ্ছে বলে আভাস মিলেছে। আর এর পেছনে করোনাকালের একটা প্রভাব আছে বলে মনে করছেন প্রকাশকরা।

শনিবার (২০ মার্চ) বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্যমতে, মেলার প্রথম তিন দিনের মধ্যেই বাংলা একাডেমিতে নতুন বইয়ের নিবন্ধন হয়েছে ১৫৯টি। এর মধ্যে মেলার দ্বিতীয় দিন ৫৫টি এবং তৃতীয় দিন নিবন্ধিত হয়েছে ১০৪টি, যা এর আগে মেলা শুরুর প্রথম দুই-তিন দিনের তুলনায় অনেক বেশি।

প্রকাশকরাও বলছেন, এবার করোনার কারণে বেশি সময় পাওয়ায় লেখকরা লিখতে পেরেছেন গুছিয়ে। ফলে বই আসছে। এছাড়া এখন যেমন বই প্রকাশ পাচ্ছে, তেমনি পুরো মেলাজুড়েই এই প্রকাশের ধারাবাহিকতা থাকবে।

এ বিষয়ে তাম্রলিপির প্রকাশক এ কে তরিকুল ইসলাম রণি, অন্বেষা প্রকাশনের প্রকাশক শাহাদাৎ হোসেন এবং অনুপম প্রকাশনের প্রকাশক মিলন নাথ জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকায় লেখকরা এবার লেখার ফুরসত পেয়েছেন। অন্যান্য কাজের চাপমুক্ত থাকায় শুধু লেখার দিকে মনোনিবেশ করতে পেরেছেন তারা। ফলে এবার বেশ গোছানো লেখা পাওয়া যাচ্ছে।

তবে অনেক প্রকাশক ও লেখক জানান, বইয়ের প্রকাশ বেশি হলেও পুরনো ও বিখ্যাত লেখকদের বই কম। বরং নতুন ও তরুণদের বই আসছে বেশি। এ বিষয়ে লেখক ও প্রকাশকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নতুন লেখকদের সঙ্গে সঙ্গে ভালো লেখকদের গুণগত মানের বই প্রকাশও জরুরি।

বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার বইমেলায় নতুন বই এসেছে ১০৪টি। এর মধ্যে গল্পের বই ১০টি, উপন্যাস ১৯টি, প্রবন্ধ ৭টি, কবিতা ৩১টি, গবেষণা বিষয়ক ৩টি, শিশুসাহিত্য ১টি, জীবনী ৫টি, রচনাবলি ৩টি, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ২টি, বিজ্ঞান বিষয়ক ৩টি, ভ্রমণ বিষয়ক ৪টি, ইতিহাস বিষয়ক ৩টি, রাজনীতির ২টি, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত ২টি, ধর্মীয় বিষয়ে ২টি, অনুবাদ ২টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি এবং অন্যান্য ৪টি।

এসব বইয়ের মধ্যে আগামী প্রকাশনী থেকে আবদুল গাফফার চৌধুরীর রাজনৈতিক কলাম বিষয়ক বই ‘হাসিনা ও রেহানা অ-রূপকথার দুই বোন’, হাসনাত আবদুল হাইয়ের ‘দিনলিপি ২০২০’, বিমল গুহের কবিতার বই ‘শেখ মুজিবের তর্জনী’, কথাপ্রকাশ থেকে আহমদ রফিকের স্মৃতিকথা ‘স্মরণীয় বরণীয় আপন বৈশিষ্ট্যে’, হাসান আজিজুল হকের কবিতার বই ‘সুগন্ধি সমুদ্র পার হয়ে’, অন্যপ্রকাশ থেকে শাইখ সিরাজের উপন্যাস ‘করোনাকালে বহতা জীবন’, সাদাত হোসাইনের উপন্যাস ‘তোমার নামে সন্ধ্যা নামে’, শিশু গ্রন্থ কুটির থেকে ঝর্ণাদাশ পুরকায়স্থের শিশুতোষ গল্প ‘জাদুকর ও আইসক্রীমের ঘর’, সময় প্রকাশনী থেকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস ‘যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু’, অনন্যা থেকে পিয়াস মজিদের স্মৃতিকথা ‘হৃদয় গ্যালারী’, তাম্রলিপি থেকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ‘বনবালিকা’, আহমদ পাবলিশিং হাউস থেকে ড. আনু মাহমুদের প্রবন্ধ ‘বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের স্রষ্টা’, জোনাকী প্রকাশনী থেকে অনীশ দাস অপুর অনুবাদগ্রন্থ ‘প্রাইভেট লাইফ অব দ্য মুঘল অব ইন্ডিয়া’, ঐতিহ্য থেকে আলতাফ পারভেজের কৃষি গবেষণা বিষয়ক গ্রন্থ ‘ধান চাষের প্রতিবেদন’ উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।