ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

ইতিহাসের নিরপেক্ষতা বিচারে কবি-সাধকদের সাক্ষ্য অপরিহার্য

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
ইতিহাসের নিরপেক্ষতা বিচারে কবি-সাধকদের সাক্ষ্য অপরিহার্য

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: বাংলার লোকসাধকদের নির্মল ও নিঃস্বার্থ ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমগ্র জীবন উঠে এসেছে। সাধক-কবিরা বাংলার বৃহত্তর লোকসমাজের প্রতিনিধি। তাই ইতিহাসের নিরপেক্ষতা বিচারে সাধক-কবিদের সাক্ষ্য আমাদের জন্য অপরিহার্য মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাইমন জাকারিয়া রচিত ‘সাধক কবিদের রচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে সভাপতির বক্তব্যে কবি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন সুমন কুমার দাশ। আলোচনায় অংশ নেন নাসির আহমেদ এবং স্বকৃত নোমান। লেখকের বক্তব্য দেন সাইমন জাকারিয়া।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মন ও মানসকে দারুণভাবে প্রভাবিত করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমনই একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সমভাবে সবার জন্য আন্তরিকভাবে ভালোবাসা পোষণ করতেন। সাধারণ শ্রেণির মানুষের সাহিত্যচর্চা ও রচনাকর্মে বঙ্গবন্ধুর উজ্জ্বল উপস্থিতি এবং ভাবাবেগ ও ভক্তিবাদ সে তথ্যকেই প্রমাণিত করে।

তিনি বলেন, মূলত নিভৃতচারী সাধকের মন ও মননকে কর্মগুণেই শেখ মুজিব ছুঁয়ে যেতে পেরেছেন। যে সাধু-গুরু-বাউল-ফকির-কবিয়ালদের নিগূঢ়তত্ত্ব ও দেহবাদী আচার-ক্রিয়ায় জীবনযাপনের কথা, তাদের রাজনৈতিক সচেতনতাবোধ সমাজের অগ্রসর শ্রেণির তুলনায় কোনোভাবেই কম ছিল না। তার প্রমাণ সাইমন জাকারিয়ার বইয়ের পরতে পরতে মেলে।

আলোচকরা বলেন, লোকায়ত বাংলার লোককবি ও সাধকদের সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরব উপস্থিতির অত্যন্ত তথ্যমূলক ও বিশ্লেষণধর্মী পাঠ এ গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধু বাংলার সংস্কৃতি, প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে আছেন। বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাউল, সাধক ও কবিরা বাংলার সংস্কৃতিকে যেমন অন্তরে ধারণ এবং চর্চা করেন, তেমনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও তারা মহিমান্বিত করেছেন তাদের পুঁথি, সংগীত ও লোককর্মের মাধ্যমে। লোকসাহিত্যে জাতির পিতাকে নিয়ে যত গ্রন্থ ও গবেষণা হয়েছে, তার মধ্যে সাইমন জাকারিয়ার এ গ্রন্থটি পথিকৃৎ হয়ে থাকবে।

গ্রন্থের লেখক বলেন, এদেশের অবহেলিত বিস্মিত লোকসাধক ও কবিরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে ছিলেন সদাসচেতন। এসব সাধক কবির পরিচিতিতেই বিশ্বের কাছে বাংলা সংস্কৃতি আজ মর্যাদার আসন পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বাংলার লোক সংস্কৃতি ও লোক সাধকদের আপন করে নিয়েছিলেন।

আলোচনা শেষে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, মাহমুদ আল জামান, ইকবাল হাসান, আশরাফ আহমেদ, জাফর আহমদ রাশেদ, ফারুক আহমেদ এবং রাসেল রায়হান। এছাড়া সন্ধ্যায় ছিল শাহাবুদ্দিন আহমেদ দোলনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুর সুধা সংগীতায়ন’ এবং শাহ্ সাদিয়া আফরিন মল্লিকের পরিচালনায় ‘হামিবা সাংস্কৃতি একাডেমির পরিবেশনা। এছাড়া সংগীত পরিবেশন করেন লুভা নাহিদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, সাজেদ আকবর, সালমা আকবর, প্রমোদ দত্ত এবং আবিদা রহমান সেতু।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
এইচএমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।