ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলা: বৃষ্টিতে ভিজেছে স্টল, চলছে গোছানোর কার্যক্রম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
বইমেলা: বৃষ্টিতে ভিজেছে স্টল, চলছে গোছানোর কার্যক্রম বইমেলার ক্ষতিগ্রস্ত স্টল-ছবি-বাংলানিউজ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: ফাগুনের প্রথম বৃষ্টিতে অমর একুশে গ্রন্থমেলার অধিকাংশ স্টলই কম-বেশি ভিজে গেছে। এতে বই ভেজার পাশাপাশি স্টলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মেলা যথাসময়ে শুরু করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চ এলাকার আশপাশে এক হাত পরিমাণ পানি জমেছে। অন্যপাশ থেকে একটু নিচু হওয়ায় এখানকার স্টলগুলোর নিচে প্রবেশ করেছে পানি।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মেশিনের সাহয্যে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।  

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শাহরিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, দুই ঘণ্টা ধরে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছি। সম্পূর্ণ শেষ হতে আরও এক ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে।  

ভেজা বই রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে-ছবি-ডি এইচ বাদলবাংলা একাডেমির স্টলেও ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি পড়ে নিচে রাখা বইগুলোর অধিকাংশই ভিজে গেছে। রোদে বই শুকানোর কাজ করছেন কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় উন্নয়ন অফিসার মিন্টু সূত্রধর বাংলানিউজকে বলেন, উপরে পানি যাওয়ার জন্য যে পাইপ দেওয়া হয়েছে তা কভার করেনি। যার কারণে লাইটের হোল্ডার দিয়ে পানি ভেতরে ঢুকেছে। বাতাসের কারণে উপরে পাতা পড়ে জমে গিয়েছিল।

একাডেমির পুকুর পাড়ে অবস্থিত লেখক কুঞ্জের পাশের স্টলগুলোতে পানি ঢুকেছে বেশি। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা চারপাশে ঝাড়ু দিয়ে বৃষ্টিতে ঝরে পড়া পাতা সরিয়ে নেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে। নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র স্টলের মনির বলেন, ছাদ দিয়ে পানি পড়ে নিচে রাথা সব বই ভিজে গেছে। পানিতে অবস্থা কাহিল।

পানি জমেছে বইমেলা প্রাঙ্গণে-ছবি-বাংলানিউজঅন্যদিকে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের নিচু এলাকায় জমেছে বৃষ্টির পানি। সেখান থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মেশিনের সাহায়্যে পানি রাস্তার ড্রেনে ফেলার কাজ করে যাচ্ছে। জলছবি প্রকাশনীর কর্মী আশিক বলেন, বৃষ্টিতে আমাদের ২শ’ র বেশি বই ভিজে গেছে। আহমেদ পাবলিশার্স, নালন্দা, জাতীয় প্রকাশ ও বাংলা প্রকাশ স্টলের বই ভিজেছে বেশি। একমাত্র বিদ্যা প্রকাশ প্র্রকাশনীর বই তেমন ভেজেনি। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়কর্মী আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের ছাদটা ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছে। ওপর থেকে পানি পড়ার সুযোগ নেই।

অ্যাডর্ন প্রকাশনীর সামনের দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যপ্রকাশের প্রদর্শনীতে থাকা অধিকাংশ বই ভিজে গেছে। ভিজে যাওয়া এসব বই স্টলের সামনে শুকাতে দেখা গেছে অনেককে। অনেক প্রতিষ্ঠানের নিচে রাখা বইয়ের কার্টন পুরোটাই ভিজে গেছে।

মেলার সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সকাল ৮টা থেকে কাজ করছি। বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়ে আমরা দু-তিন ধরে মাইকিং করেছি। যার কারণে এবার ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। মেলার কার্যক্রম যথাসময়ে শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসকেবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।