ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

ভালোবাসা-উচ্ছ্বাস-তারুণ্যের বইমেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
ভালোবাসা-উচ্ছ্বাস-তারুণ্যের বইমেলা বইমেলায় পছন্দের বইয়ে আত্মমগ্ন তরুণ-তরুণ/ ছবি: ডিএইচ বাদল

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: তখনো উন্মুক্ত হয়নি বইমেলার দুয়ার। মেলায় প্রবেশের অপেক্ষা যেন আর সইছে না উৎসুক যুগলদের। বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের সময় বিকেল ৩টা। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই তরুণ-তরুণীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন- কখন খুলবে দ্বার! আর তারা মিশ যাবেন প্রাণের মেলায়, ভালোবাসার মেলায়।

আগের দিন মঙ্গলবার ছিল ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। আর বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।

অন্যদিকে চলছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলার জমজমাট সময়! এমন সব উপলক্ষ কি আর প্রতিদিন আসে? তাই এমন দিনে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস স্বাভাবিকভাবেই হবে বাঁধনহারা!

তবে বসন্ত উৎসবে রঙের বাহার ও হলুদের ছড়াছড়ি থাকলেও আজ ততটা ভালোবাসার রঙ লালের দেখা মেলেনি। বেশির ভাগ তরুণ-তরুণীই এসেছেন সাদামাটা পোশাকেই। তবে প্রায় সব তরুণীর হাতে ছিল ভালোবাসার গোলাপ আর মাথায় ফুলের মুকুট।
বইমেলায় প্রবেশের অপেক্ষায় আগতরা/ ছবি: ডিএইচ বাদলমেলায় অন্যান্য দিন সব বয়সী ক্রেতা ও দর্শনার্থীর টান থাকলেও আজ যেন ক্রেতা দর্শনার্থীর সিংহভাগই তরুণ-তরুণী। ভালোবাসার টানে প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরতে বেড়িয়েছেন তারা। অন্যান্য দিন বা সময়ে ঘুরতে বের হলেও এই দিনটিতে হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়ানো বিশেষ কিছু। তবে প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরতে ঘুরতে শেষেই তারা মনোযোগ দিয়েছেন পছন্দের বই কেনার দিকে। প্রিয় মানুষটিকে বই উপহার দিতেও কার্পণ্য করছেন না তারা।

ভালোবাসা দিবসে মেলায় গিয়ে দেখা যায় উপন্যাসের কাটতি বেশ ভালো। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে যে উপন্যাস রয়েছে তা জানালেন প্রকাশক ও লেখকেরাও। যেসব বই বিক্রি হচ্ছে তার বেশিরভাগই ভালোবাসার মানুষকে উপহার দিতেই কিনছেন তরুণেরা।

মেলায় প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে পুরান ঢাকা থেকে ঘুরতে এসেছেন মিজানুর রহমান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, স্পেশাল দিনে স্পেশাল মানুষকে সময় দিতে পারা সবার জন্যই ভালো লাগার। সামনে সময় পাব কিনা জানি না। আজকে তাই সময় বের করে চলে আসা।
বইমেলায় আগত তরুণ-তরুণী/ ছবি: ডিএইচ বাদলঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তাবাসসুম তাম্মি বাংলানিউজকে বলেন, এই দিনটি সকম প্রেমিক-প্রেমিকার কাছেই বিশেষ। গতকাল বের হতে পারিনি, কিন্তু আজকের দিনটা আর মিস করতে চাইনি। তাই মেলায় ভিড় বাড়ার আগেই ঢুকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এসে দেখি আমাদের সামনে আরো অনেকে আছেন!

মেলায় আসা দম্পতি কানিজ রাইফা ও ইনসাফ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে প্রতিটা দিনই খুব স্পেশাল, প্রতিটা দিনই ভালোবাসার। কিন্তু এরপরেও কিছু দিন থাকে যা অন্যরকম আবহ নিয়ে আসে। বিয়ের পর আমাদের এটাই প্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে। তাই এই দিনটাকে মনে রাখতেই বইমেলায় এসেছি। বাসায় একটি ছোট্ট লাইব্রেরি রয়েছে, কিচ্ছুক্ষণ ঘুরাঘুরির পর সেটার জন্য বই কিনবো।

কথা হয় প্রকাশনা সংস্থা আগামী প্রকাশনীর স্টল ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মেলার প্রথম দিন থেকেই তার স্টলে উপন্যাস ও প্রবন্ধের বই ভালো বিক্রি হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসেও ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
কেডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।