ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

বইমেলায় রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮
বইমেলায় রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ হুমায়ূন আহমেদ’র বইয়ের প্রকাশনী স্টলও দেখা যায় ফাঁকা। ছবি: রাজীন চৌধুরী

একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলা অষ্টম দিনে এসে একেবারে রূপ হারিয়েছে যেন। ফটকগুলোতে নেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়, হুড়োহুড়ি কিংবা সেজে-গুজে ঘুরে বেড়ানো যুগলবন্দি। মেলার বাইরেও নেই আচার, মুড়ি, চিড়া-নারকেল বিক্রেতাদের উপস্থিতি। নেই চা-সিগারেটের দোকানও। সব মিলিয়ে নিষ্প্রাণ মনে হচ্ছে মেলা।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, গতকাল বুধবারও (৭ ফেব্রুয়ারি) যে সময়টাতে স্টলের লোকজন ক্রেতা সামলাতে ব্যস্ত, তারাই বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কাটাচ্ছেন খোশগল্প করে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যে ‘উদ্বেগ-আতঙ্ক’ তৈরি হয়েছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে গ্রন্থমেলায়।

প্রকাশকরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে কি-না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। তেমন কিছু হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের।

তাদের মতে, গত বছর এসময় মেলায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক হতো। বুধবারও ১৫ থেকে ২০ হাজারের মতো লোক হয়েছিল। অথচ বৃহস্পতিবার ক্রেতাশূন্যপ্রায় মেলা প্রাঙ্গণ। ফাঁকা জনপ্রিয় লেখকদের প্রকাশনীর স্টলও।  ছবি: রাজীন চৌধুরীলোকজন মেলায় এতো কম হয়েছে যে, জনপ্রিয় লেখকদের প্রকাশনীগুলোতেও ক্রেতা নেই। অন্যদের কথা তো বলারই প্রয়োজন পড়ে না।

হুমায়ূন আহমেদ’র বইয়ের নামকরা এক প্রকাশনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘দলগুলোর ওপর আসলে নির্ভর করবে সবকিছু। তারা সহনশীল হলে সাধারণ মানুষের ভীতি কেটে যাবে। অন্যথায় জনমনে ভীতির প্রভাব মেলায় দেখা যাবে। ’

একই লেখকের বইয়ের আরেক নাম করা প্রকাশনী কাকলীর প্রকাশক নাসির আহমেদ সেলিম বলেন, ‘আমরা আশা করবো রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টির হবে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে হবে। আমরা লোকসানের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। এটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ’

ঐতিহ্য প্রকাশনীর ম্যানেজার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্যানিক থাকার কারণে মেলায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গতকালের তুলনায় বিক্রি নেই বললেই চলে। ’ফাঁকা বাংলা একাডেমি ফটক।  ছবি: রাজীন চৌধুরীপাঞ্জেরী পাবলিকেশনস লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. সজীব বলেন, ‘গতকাল ১৫ থেকে ২০ হাজারেরর মতো লোক সমাগম হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। ’

গত কয়েক বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় গ্রন্থমেলার অবস্থা ছিল বেশ জাঁকজমক। সে বছর বিক্রিও হয় রেকর্ড পরিমাণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।