ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

রঙিন বইয়ে আটকা তাদের চোখ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮
রঙিন বইয়ে আটকা তাদের চোখ! বই দেখছে একজন শিশু। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় চলছে ‘শিশুপ্রহর’। এ সময়টাতে শিশুরাই বইয়ের মূলক্রেতা। বইয়ের মলাট উল্টে কেউ দেখছে পছন্দের কমিকস, রূপকথা গল্প, কেউ আবার ভয়ঙ্কর রাক্ষুস ও ভূতের গল্প। এমন রঙিন বিভিন্ন বইয়ে ক্ষুদে-পাঠকদের চোখ আটকে রয়েছে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত 'শিশুপ্রহর'। সকাল থেকেই ক্ষুদে প্রাণের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ।

মেলায় প্রবেশ করেই বই কিনে দাও, সিসিমপুরে নিয়ে যাও, কমিকস নিবো- এ রকম নানান বায়না ধরেছে আগত শিশুরা।

সঙ্গে আসা বাবা-মায়েরাও আনন্দিত। শিশুদের বাঁধনহারা ছোটাছুটিতে সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। শিশুদের অগ্রাধিকার দিয়ে আলাদা 'শিশুচত্বর' রাখায় বাংলা একাডেমির এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। বই দেখছে একজন শিশু।  ছবি: শাকিল আহমেদঅভিভাবক মজুমদার ইসতিয়াক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ' বাচ্চার চিন্তা-ভাবনার পরিধি বাড়ানোর জন্য মেলায় নিয়ে এসেছি। আলাদা 'শিশু চত্বর' হওয়ায় ওদের জন্য ভালো হয়েছে। তারা ইচ্ছামত আনন্দ করতে পারছে।

রাজধানীর ওয়ারি থেকে বাবার হাত ধরে মেলায় এসেছে শিশু জেইনা শাহরিয়ার। সিসিমপুরের যাওয়ার আগ থেকেই বইয়ে আগ্রহ বেশি তার। মেলায় এসেই বিজয় প্রকাশে বইয়ে 'তিনটি ইচ্ছে পূরণ' বইয়ে হাত দেয় সে। এরপর বাবার হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় স্টলে।

জেইনা বলে, আমার বই খুব ভালো লাগে। কমিকস রানির গল্প আমার অনেক ভালো লাগে। অনেকগুলো বই কিনবো।

বাবা শাহরিয়ার বলেন, ও (জেইনা) অন্য বাচ্চাদের থেকে একটু আলাদা। বই পছন্দ করে হই হুল্লোড়ে কম যায়। বই পছন্দ করায় আমি অনেক হ্যাপি। আজকাল বাচ্চারা কম্পিউটার, টিভিতে কার্টুন দেখতে পছন্দ করে। বই হাতে নেওয়া তেমন দেখা যায় না।

মেলায় বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও অনেক বই বের হয়েছে। শুরু থেকে শিশুদের বই বিক্রি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রকাশকরা৷ গ্রন্থমেলায় সিসিমপুরে হালুমকে দেখে শিশুদের উল্লাস।  ছবি: শাকিল আহমেদমেলা ঘুরে দেখা যায়, নামকরা লেখকদের পাশাপাশি তরুণরাও লিখছেন শিশুদের জন্য৷

ঝিঙেফুল স্টলের বিক্রয় কর্মকর্তা আবু দাউদ বাংলানিউজকে বলেন, 'শিশুদের সবচেয়ে আর্কষণ বেশি রঙিন বই। রঙিন বইয়ের মলাট দেখেও তারা আকৃষ্ট হচ্ছে। ডাইনোসর, ভূতের গল্প,তাদের পছন্দের কার্টুন চরিত্রের গল্প বেশি কিনছে। 'মেলায় শিশুরা।  ছবি: শাকিল আহমেদতনিমা হোসেন নামে এক অভিভাবক বাংলানিউজকে বলেন, 'শিশুরা দেশের আগামী ভবিষ্যৎ। শিশুদের জন্য আলাদা করে ভাবতে হবে। এজন্য নামকরা লেখকদের বেশি করে লেখা উচিত৷ লেখকদের উচিত শিশুদের জন্য আলাদাভাবে চিন্তা করা৷ তাদের বইয়ের মাধ্যমে শিশুরা যেন পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে এদিকে খেয়াল রাখা।

শিশুপ্রহরে 'শিশু চত্বরে' সিসিমপুর শিশুদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে। ' চলছে গাড়ি সিসিমপরে' গানের সঙ্গে নেচে গেয়ে 'শিশু প্রহর' উপভোগ করছে শিশুরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এমসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।