ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

বইমেলায় বড় নাশকতার পরিকল্পনা, সিসিটিভিতে ২ দুর্বৃত্ত

আদিত্য আরাফাত ও সৈয়দ ইফতেখার আলম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
বইমেলায় বড় নাশকতার পরিকল্পনা, সিসিটিভিতে ২ দুর্বৃত্ত ছবি: শাকিল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বড় নাশকতার পরিকল্পনায় নেমেছিল দুর্বত্তরা। তবে তাদের সে চেষ্টা ভেস্তে গেছে।



নাশকতার অংশ হিসেবে একটি স্টলে দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্র্বত্তরা। যদিও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভানো হয়। গ্রন্থমেলার সিসিটিভিতে এ দৃশ্যই দেখা গেছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আগুন লাগানোতে দু’জন ছিলেন। একজন দাহ্য পদার্থ ঢালেন, আরেকজন আগুন লাগিয়ে দেন। আগুন লাগিয়েই দু’জন সটকে পড়েন। পরে পাশের স্টলের বিক্রয়কর্মীরা তা দ্রুত নেভাতে সক্ষম হন।

ভিডিও ফুটেজ বলছে, সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে দুই তরুণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে শিশু চত্বরের পাশে প্লাটফর্মের (স্টল নম্বর ৪৯২) স্টলের পেছনে দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দ্রুত চলে যায়। এরপরই পাশের স্টলের দু’তিনজন বিক্রয়কর্মী এসে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভাতে সক্ষম হন।

অগ্নিকাণ্ডের পর বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দু’জন তরুণ আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছে একটি স্টলে। আমরা কেরোসিনের গন্ধ পেয়েছি। নিরাপত্তাকর্মীরা আমাদের বলেছেন, তারা দ্রুতই এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের ধরতে পারবেন।

বইমেলায় দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের স্টেশন অফিসার সাহেব আলী বাংলানিউজকে বলেন, এটা একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। আমরা (ফায়ার সার্ভিস) আসার আগেই আগুন নিভে ফেলা হয়েছে।

আগুন নেভানোতে সহযোগিতাকারী শব্দশিল্প স্টলের বিক্রয়কর্মী আওয়াল বাংলানিউজকে বলেন, মূলত আমি আগুনটা পেছন থেকে দেখতে পাই। পরে পানির বোতল নিয়ে আগুন নেভাতে ছুটে যাই। এসময় কয়েকজন বিক্রয়কর্মী এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামরাপারসনের সহযোগিতায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই নেভাতে পারি।

যে স্টলে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয় (প্লাটফর্ম) তার বিক্রয়কর্মী প্রসেনজিৎ রায় বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যায় পেছন দিক থেকে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছে কে বা কারা। পেট্রোল-কেরোসিনের গন্ধ পেয়েছি আমরা। বুঝতে পেরেছি নাশকতার উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।
 
এদিকে এ ঘটনার পর স্টলটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, স্টলের পেছনের অংশে আলো বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা এবং মেলায় দায়িত্বরত্ব কর্মকর্তারা মনে করছেন, দুর্র্বত্তরা বড় নাশকতার পরিকল্পনা করতেই এ অগ্নিকাণ্ডের চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনার পর মেলায় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।

এদিকে এ ঘটনার পর মেলার প্রবেশ মুখে পুলিশের সদস্যরা প্রত্যেকের কাছে ম্যাচ, সিগারেট ও এ জাতীয় দ্রব্য আছে কি-না তা তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এডিএ/আইএ/এএ

**  বইমেলায় স্টলের পেছনে আগুন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।