ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

সামিয়া রহমানের ‘কুতর্কে বিতর্কে গণমাধ্যম’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
সামিয়া রহমানের ‘কুতর্কে বিতর্কে গণমাধ্যম’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব

বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সামিয়া রহমানের সম্পাদিত ‘কুতর্কে বিতর্কে গণমাধ্যম’।

এ উপলক্ষে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকাশনা উৎসব ও গোলটেবিল আলোচনা।



এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার, বইয়ের সম্পাদকের বাবা কাজী মাহমুদুর রহমান, শ্রাবণ প্রকাশনের রবিন আহসান প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম বিকাশ ও প্রসারে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতে হবে। গণতন্ত্র নির্মাণে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা কখনও শক্তিশালী আবার কখনও দুর্বল। কিন্তু গণমাধ্যম সবসময় শক্তিশালী। রাজনীতিবিদরা ভুল করতে পারেন কিন্তু গণমাধ্যম ভুল করতে পারে না।

সামিয়া রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন, ড. ইয়াসমিন হক, ড. আহাদুজ্জামান, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুবাইয়াত ফেরদৌস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন সামিয়া রহমানের বাবা কাজী মাহমুদুর রহমান।

গোলটেবিল বৈঠকে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ যখন একজন শিক্ষকের উপর হাত তুলেছিলো তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ছাত্রলীগকে আগাছামুক্ত করতে হবে। আমিও বলেছি যেই দোষীকে শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু একটি বড় মাপের পত্রিকা রিপোর্ট করেছিলো ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ছাত্রলীগের শাস্তির বিপক্ষে। রিপোর্টারদের দায়িত্ব নিয়ে রিপোর্ট করা উচিত।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, গণমাধ্যম যেমন সবাইকে নিয়ে সমালোচনা করে সামিয়া রহমানের এ বইটি তেমনিভাবে গণমাধ্যমের সমালোচনা করেছে।

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গণমাধ্যম ভালো কাজ ও খারাপ কাজ দুটোই করে।

এসময় তিনি আমার দেশ পত্রিকার সমালোচনা করে বলেন, আমার দেশ পত্রিকাটি ৫মে’র ঘটনাটিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে জনসাধরণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন,  গণমাধ্যমের ভূমিকার কারণেই ভিয়েতনামের যুদ্ধটা শেষ হয়েছিলো। তিনি বলেন, তর্ক বিতর্ক থাকবে তা অবশ্যই যৌক্তিক হওয়া উচিত।

ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, গণমাধ্যমের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সাংবাদিকদের কাছে আমরা জিম্মি। আমরা সংসদে ডেইলি স্টারের সম্পাদকের সমালোচনা করলাম সেটাও গণমাধ্যম সমালোচনা করেছে।

ইমরান এইচ সরকার বলেন, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে কিভাবে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা যায় তা ভাবতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
এডিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।