ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

‘উপন্যাসটি এক টুকরো মায়া রেখে যাবে আপনার ভেতর’

শিল্প-সাহিত্য প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
‘উপন্যাসটি এক টুকরো মায়া রেখে যাবে আপনার ভেতর’

বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-য় অন্যপ্রকাশ থেকে বেরিয়েছে একুয়া রেজিয়ার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘এই শহরে মেঘেরা একা’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী নির্ঝর নৈঃশব্দ্য।

বিনিময় মূল্য ১৭৫ টাকা। পাওয়া যাবে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে অন্যপ্রকাশের প্যাভিলিয়নে।

উপন্যাসটির গল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে একুয়া রেজিয়া বলেন, গল্প জেগে উঠে জীবন থেকেই। অযুত বছর ধরে জমে থাকা স্বপ্নকথাই এক একটা শব্দের গাঁথুনিতে সৃষ্টি করে গল্প। যে গল্প মানুষের পারস্পরিক দ্বন্দের, স্বপ্নভঙ্গের, বেঁচে থাকার কিংবা কারও হারিয়ে যাবার। সেই গল্পের আকার যখন বিষণ্নতার মেঘে মিশে মহীরূহ হয়ে ওঠে, জীবন আর স্বপ্নের কাঁটাতারে তখন বাঁধা থাকে সামান্যই। ’

তিনি বলতে থাকেন, স্বপ্ন যেখানে জীবনের চোখ রাঙানিতেও রঙ হারায় না, গল্পগুলো হয়ত সঞ্জীবনী খুঁজে পায় সেখানেই। এইসব কিছুর ভিড়েই গল্প খুঁজে বেড়ায় একটি মেয়ে। বিষণ্ণতায় ডানা মেলে ওর স্বপ্নগুলো। মেঘ হয়ে কোন এক দূর অজানায় নিজেকে খুঁজে পেতে আকুল মেয়েটি একটু একটু করে আবিষ্কার করে, প্রাত্যাহিকতায় আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা ওর আশেপাশের মানুষগুলোও ডুবে আছে আকাশ সমান স্বপ্নে।

সে টের পায় এই এক পলকের ছোট্ট জীবনটাকে অযথাই খুব জটিল করে ফেলি আমরা। মনোগ্রাফে দাগ কেটে যাওয়া সময়গুলোকে আমরা নিতান্ত অবহেলাতে কোন এক ধুলোপড়া কোণে ছুঁড়ে দেই। আমরা ভুলে যাই, এই পৃথিবীতে আমাদের গল্প লেখা হয় একবারই!’

গত বছর তো আপনার প্রথম উপন্যাস বেরিয়েছিল। এবার দ্বিতীয়—দুটোর মধ্যে মিল বা অমিলের জায়গাগুলো কী? জানতে চাইলে একুয়া রেজিয়া বলেন, “কিছু বিষাদ হোক পাখি” আমার প্রথম উপন্যাস। সেই প্রেক্ষিতে বলতে হয় “এই শহরে মেঘেরা একা” আমার দ্বিতীয় উপন্যাস বলে এখানকার লেখা আরও বেশি পরিণত, আরো পরিশীলিত।

আর যদি পার্থক্যের কথা বলি তবে এইটুকু বলতে পারি, কিছু বিষাদ হোক পাখি উপন্যাসটি শেষ করার পর একটা বিষণ্ণতার অনুভূতি নিয়ে আপনি বইটি বন্ধ করবেন। কিন্তু এই শহরে মেঘেরা একা উপন্যাসের শেষটুকু একটা অনিমেষ ভালোলাগা, একটুকরো মায়া রেখে যাবে আপনার ভেতর। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।