ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

মুক্তিযুদ্ধের বই

বইয়ের পাতায় একাত্তর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
বইয়ের পাতায় একাত্তর ছবি: জাহিদ সায়মন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বই মেলা থেকে: বাঙালির জীবনে মুক্তিযুদ্ধ সবচেয়ে বড় অধ্যায়। যারা এ যুদ্ধ দেখেননি তারা বইয়ের পাতায় ফিরে যেতে পারেন একাত্তরে।

মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এবার এসেছে বেশ কিছু বই।

এবার আসা মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে-আগামী প্রকাশনী থেকে  আহমদ শরীফের ‘বাঙলার বিপ্লবী পটভূমি’, আবদুল মান্নানের ‘বাংলাদেশ :এই সময়ের রাজনীতি’, বিমলেন্দু হালদারের ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রেক্ষাপট এবং মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’, এসএম শোয়েবের ‘পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসার ভয়ংকর দিনগুলি’, মোহীত উল আলমের ‘ভাষা মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু’, অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রাসঙ্গিক কথা’এবং অমর সাহার ‘কলকাতায় বাংলাদেশ’।

সাহিত্যমালা থেকে মুহাম্মদ হাবীবুর রহমানের লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো’, অনন্যা থেকে বেরিয়েছে মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত ‘গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ২১ ও ২২’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘১৯৭১’, মেজর কামরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ‘কিশোর যোদ্ধা সালাম’, ‘শিশু যোদ্ধা নূরু’, ‘বীর যোদ্ধা রমজান’, ‘বীর যোদ্ধা ইমান আলী’, এম আর আখতার মুকুল ও ড. মাহমুদ রেজার ‘একাত্তরের বর্ণমালা’।

মুক্তধারা থেকে প্রকাশিত হয়েছে সেলিনা হোসেনের ‘মুক্তিযদ্ধের কিশোর গল্প’, আহমেদ মওলার ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’।

অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে ফকির আলমগীরের ‘মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধুরা’, সাঈদ হাসান দারার ‘মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১’, মনি হায়দারের ‘উত্তাল মার্চ ১৯৭১’ এবং অ্যাডভোকেট সাইদা বেগমের ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলন’। ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদের ‘হামুদুর রহমান কমিশন প্রতিবেদন :৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ : স্বাধীন বাংলাদেশের আবির্ভাব’, ও ‘রুস্তমজির ভাষা :বাংলাদেশের মুক্তিসহ কমান্ডো’ মো. খলিলুর রহমানের ‘মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত প্রবন্ধ সংকলন’ প্রকাশিত হয়েছে গোধূলী প্রকাশ থেকে।

তাম্রলিপি থেকে এসেছে ‘মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস’। এটা জেলাভিত্তিক একটি রচনা।

আহমদ পাবলিশিং হাউস প্রকাশ করেছে মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস’, শামসুল হুদা চৌধুরীর ‘একাত্তরের রণাঙ্গন’ ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধে বিলাত প্রবাসীদের অবদান’। অনুপম প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে দ্বিজেন শর্মার লেখা ‘আমার একাত্তর ও অন্যান্য’, বেলাল মোহাম্মদের লেখা ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’, রবার্ট পেইনের ‘সেই দুঃসময়ে’ অনুবাদ করেছেন সিদ্দিকুর রহমান।

কাকলী থেকে প্রকাশিত হয়েছে আনিসুল হকের ‘মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস’। বিদ্যাপ্রকাশ থেকে বেরিয়েছে প্রাবন্ধিক ও গবেষক মফিদুল হকের ‘জেনোসাইড নিছক গণহত্যা নয়’ ও ‘বাংলাদেশের মুক্তিসেনা’। পাঠক সমাবেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে রইসউদ্দিন আরিফের ‘অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ-বাঙ্গালী ও বাংলাদেশ’।

ইউপিএল থেকে প্রকাশিত হয়েছে আবু সাঈদ চৌধুরীর ‘প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো’, এটিএম শামসুদ্দিন অনুদিত ‘পাকিস্তান যখন ভাঙ্গলো’, বাসন্তী গুহঠাকুরতার ‘একাত্তরের স্মৃতি’।

কথাপ্রকাশ থেকে বেরিয়েছে বদরুদ্দীন উমরের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের জয় পরাজয়’ ও আমীরুল ইসালামের ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প’। দি রয়েল পাবলিশার্স থেকে বেরিয়েছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ‘বদনখানি মলিন হলে’। অবসর থেকে বেরিয়েছে লুৎফর রহমান রিটনের সম্পাদনায় ‘ভুলব না’, ডা. বরেন চক্রবর্তীর ‘ক্রান্তিকাল’ ও ‘তামস’।

এ ছাড়া প্রায় সব প্রকাশনীতেই পাওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধের দুই থেকে তিনটি বই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।