ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

বইমেলা

শিক্ষকদের শিক্ষক অজিত কুমার গুহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:১১, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪
শিক্ষকদের শিক্ষক অজিত কুমার গুহ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: শিক্ষাবিদ হায়াৎ মামুদ বলেছেন, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ ছিলেন মানবিক গুণে ভাস্বর এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন শিক্ষকদের শিক্ষক।



সোমবার বিকেল চারটায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘অজিত কুমার গুহ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রামেন্দু মজুমদার, আবেদ খান এবং মাহবুব তালুকদার। সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী।

অনুষ্ঠানে প্রাবন্ধিক হায়াৎ মামুদ বলেন, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ ছিলেন নিভৃতচারী। কিন্তু নীতির প্রশ্নে এক অনমণীয় যোদ্ধা। গভীরভাবে লালন করতেন বাঙালি জাতিসত্তার বোধ। ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ অজিত গুহের দায়বদ্ধ জাতি চেতনারই প্রকাশ।

তৎকালীন পূর্ববাংলার প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ও রাজনীতিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। জন্মশতবর্ষে তাঁকে স্মরণ করে বাংলা একাডেমি একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে।

অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ বলেন, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ প্রয়াত হয়েছেন বহুদিন কিন্তু এখনও আমরা তাঁকে খুঁজে পাই সাম্প্রদায়িকতবিরোধী আন্দোলনের পুরোভাগে, বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার মশালে, উদার মানবিক জীবনবোধে।

আনুষ্ঠানিক রাজনীতি তিনি করেননি। কিন্তু, অন্তরের মর্মমূলে মানবকল্যাণ ও শ্রেয়বোধের যে চেতনা তিনি লালন করতেন, তা কোনোভাবেই অরাজনৈতিক নয়।

তারা বলেন, অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ে আলো দিয়ে আলো জ্বালাবার যে ব্রত অজিত কুমার গুহ গ্রহণ করেছিলেন, তা এখনো দিশারীর ভূমিকা পালন করছে।

সভাপতির বক্তব্যে কামাল লোহানী বলেন, অজিত কুমার গুহ ছিলেন প্রকৃত জ্ঞানসাধক। তাঁকে রেনেসাঁস মানব বললেও অত্যুক্তি হবে না। নীতির প্রশ্নে নিরাপোষ অজিত গুহ ধর্ম-সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বজনীন মনুষ্যত্বের বিজয়ের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।

তিনি এ বছর আমৃত্যু সত্য ও সুন্দরের পূজারী অজিত গুহের জন্মশতবর্ষ স্মরণে বাংলা একাডেমি কর্তৃক একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের প্রস্তাব করেন।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ, আহকামউল্লাহ্ এবং রেজিনা ওয়ালী লীনা। অধ্যাপক লিয়াকত আলীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পথিকৃৎ ফাউন্ডেশন’।

এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী রেবেকা সুলতানা, মাহমুদ সেলিম, অনুপ ভট্টাচার্য্য, আজাদ হাফিজ, সন্দ্বীপন দাস, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, শ্যামা সরকার, ফারহানা শিরিন এবং শাহীনা আক্তার পাপিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।