ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রসার ও ওয়াহিদুল হক এক সমার্থক নাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪
রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রসার ও ওয়াহিদুল হক এক সমার্থক নাম

বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রসার ও ওয়াহিদুল হক এক সমার্থক নাম।  

 

অভিভাবকতুল্য ভূমিকায় তিনি রবীন্দ্রনাথের সূত্রে মূলত দেশবোধের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন আমাদের মধ্যে।

 

শনিবার বিকেল চারটায় বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে ‘ওয়াহিদুল হক: বাংলাদেশে রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রচার ও প্রসার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

ড. আতিউর রহমান বলেন, ওয়াহিদুল হকের ভাবনার বলয় ছিল বহুবিস্তারী। রবীন্দ্র সঙ্গীতকে কেবল গায়কির ভেতরে সীমাবদ্ধ না রেখে রবীন্দ্রসুরের মাঙ্গলিক মূর্ছনায় সাম্প্রদায়িকতা ও সব ভেদবুদ্ধির বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন।  

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে দীপা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওয়াহিদুল হক ছিলেন রবীন্দ্রপথের ক্লান্তিহীন পথিক। রবীন্দ্র সঙ্গীতকে তিনি বাংলার শেকড়ে, তৃণমূলে পৌঁছে দিয়েছেন।  

 

তিনি বলেন, রবীন্দ্র-আদর্শের চেতনাস্নাত ওয়াহিদুল হক কায়মনে বাঙালি হওয়ার সাধনাকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন সবার মধ্যে। এখনো ওয়াহিদুল হক বৈরী সময়ে হৃদয়মাঝে অভয়মন্ত্র বাজার রবীন্দ্রদীক্ষা ছড়িয়ে দিয়ে যান।

 

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, ওয়াহিদুল হক শুধু শুদ্ধ রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রচার-প্রসারেই ভূমিকা রাখেননি বরং মানবিক নানান গুণেও ছিলেন ভাস্বর। বাংলাদেশের কয়েক প্রজন্মকে তিনি বাঙালিয়ানার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে রেখেছেন পথিকৃতের ভূমিকা।  

 

রবীন্দ্রনাথের মর্মবাণীকে বুকে ধারণ করে সমন্বয়ধর্মী বাঙালি সংস্কৃতির বাণীকে ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত

পর্যন্ত।  

 

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জামিল চৌধুরী এবং বদিউর রহমান।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পার্থ সারথী সিকদারের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ’ সঙ্গীত এবং আতিকুর রহমান উজ্জ্বলের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘ভোরের পাখি নৃত্যকলা কেন্দ্র’ নৃত্য পরিবেশন করে।  

 

এছাড়া সঙ্গীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী মহিউজ্জামান চৌধুরী, আবদুল ওয়াদুদ, লাইসা আহমেদ লিসা, আজিজুর রহমান তুহিন, ছায়া রানী কর্মকার, শাহনাজ নাসরীন ইলা এবং অচিন্ত্য কুমার হাজং।

 

এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজন করে শিশু-কিশোরদের সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন।

 

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।