ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

দেশের প্রথম ‘ব্যাংকিং মিউজিয়ামের’ যাত্রা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
দেশের প্রথম ‘ব্যাংকিং মিউজিয়ামের’ যাত্রা

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ব্যাংকে ব্যবহৃত উপকরণ সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে ‘এমটিবি মিউজিয়াম’ চালু করেছে বেসরকারি খাতের মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি)।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে এমটিবি টাওয়ারের স্যামসন এইচ. চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এর উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারম্যান মো. হেদায়েতুল্লাহ।

এ সময় জানানো হয়, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৯ পর্যন্ত ২০ বছর এমটিবির পথচলা এবং অর্জনের ইতিহাস সংরক্ষণ করা হবে এই মিউজিয়ামে। প্রতিষ্ঠাকালীন বিভিন্ন সামগ্রী, পরিচালনা পর্ষদ, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, বার্ষিক সাধারণ সভা, বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শাখা, বুথ, এটিএম, কিওস্ক, এয়ার লাউঞ্জ, প্রিভিলেজ সেন্টারের ছবি সংরক্ষিত থাকবে এখানে।

অতিথিরা এমটিবি ভবনে পোড়ামাটির তৈরি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি টেরাকোটা উদ্বোধন করেন।

ব্যাংকের ২০২০ সালের ক্যালেন্ডারও প্রকাশ করা হয়। ‘মুজিব শতবর্ষ’ থিম নিয়ে সাজানো এই ক্যালেন্ডারটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে। ছবিগুলো এঁকেছেন দেশের ১২ জন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী; হাশেম খান, রফিকুন্নবী, শেখ আফজাল, মো. নাজমুল কবির, জামাল আহমেদ, আব্দুস শাকুর শাহ, নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, মনিরুল ইসলাম, সমীরণ চৌধুরী, প্রদীপ সাহা এবং রোকেয়া সুলতানা।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. হেদায়েতুল্লাহ বলেন, ২০ বছর অতিক্রম করতে অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। আজকে যে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হলো, তা নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। ব্যাংক শুধু মানি মেশিন না হয়ে, নানা রকম সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় অনেক কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই উদ্যোগ।

সদ্য যোগদান করা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের জন্য ইতিহাস রক্ষা করা খুব কঠিন। মনে রাখার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন। এটি আমার জন্য একটি উৎসাহের ব্যাপার। ব্যাংকিংয়ের বাইরেও আমরা কাজ করছি।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, আত্মবিশ্রিত জাতি হিসেবে আমরা কিছুই ধরে রাখতে চাই না। অতীতে আমরা অনেক বিষয়ে ক্যালেন্ডার করেছি। এ বছর করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী নিয়ে।

বিদায়ী এমডি আনিস এ খান বলেন, ২০০৭ সালে বেইজিংয়ের একটি ব্যাংকে মিউজিয়াম দেখেছিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি টাকা জাদুঘর ছাড়া আর কোনো ব্যাংকে এ ধরনের উদ্যোগ নেই। তাই আমি এটি করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিভিন্ন দেশের ধাতব মুদ্রা, মেশিন, অন্যান্য উপকরণ থাকবে। আমেরিকায় এমন একটি মিউজিয়াম দেখেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে কিছু একটা করা হবে।

ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ রফিকুল হক সমাপনী বক্তব্য দেন।

এসময় ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও গ্ৰুপ হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল কমপ্লায়েন্স গৌতম প্রসাদ দাস এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তারেক রিয়াজ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম চঞ্চল উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।