ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

ত্রাণ বিতরণের অনিয়ম সহ্য করা হবে না: ওবায়দুল কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২০
ত্রাণ বিতরণের অনিয়ম সহ্য করা হবে না: ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা: ত্রাণ বিতরণের নামে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১১ এপ্রিল) সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্পষ্টভাবে একটা কথা বলতে চাই, ত্রাণ বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না, খেটেখাওয়া মানুষের ত্রাণ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে তারা যেই হোক তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন,  করোনা নামক এ অদৃশ্য শক্তিকে পরাজিত করতে আমাদের সবাইকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব মত পার্থক্য ভুলে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবাইকে ধৈর্য এবং সাহসিকতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। এই লড়াইয়ে জিততে হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল এ দুর্যোগকালে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে। এসব গুজবের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থাকার এবং গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

করোনা সংকটে নিবেদিত চিকিৎসক-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অতীতের মতো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য ধন্যবাদ। মনে রাখতে হবে ঘরে ঘরে অবস্থান এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যারা পারবেন না তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য বিপদ ডেকে আনবেন।

ওবায়দুল কাদের দুর্যোগে খেটেখাওয়া কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তবান মানুষ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তাদের চলমান প্রয়াস আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মাসেতু  ২০ ও ২১ নম্বর  পিলারের ওপর ২৮ তম স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ফলে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো। আর বাকি রইলো ১৩টি স্প্যানের কাজ। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও দেশি-বিদেশি সব প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান শ্রমিক, পরামর্শক তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২০
এসকে/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।