ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

এভিয়াট্যুর

আকাশে আস্থা ইউএস-বাংলায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
আকাশে আস্থা ইউএস-বাংলায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস

ঢাকা:  অনটাইম ফ্লাইট পরিচালনার কারণে এরই মধ্যে আকাশযাত্রীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা।  বুধবারও (১৭ মে) যথাসময়েই ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিএস-২১৪ ফ্লাইট উড়লো তাদের।
 

ব্যাংককের সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্টে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। ঘড়ির কাঁটা স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিট ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে ছেড়েছে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের অত্যাধুনিক এয়ারক্র্যাফট।

আকাশে উড়ার মিনিট পনেরোর মধ্যেই সিটে সিটে পৌঁছে যায় উপাদেয় বাঙালি খাবার।   নিজস্ব ক্যাটারিংয়ের সাদা ভাত, চিকেন, বিফ ও সবজির পর দেওয়া হয় মিষ্টি কেক আর ফিরনি। সুস্বাদু খাবার খেয়ে আয়েসে ঢেঁকুর তুলতে তুলতে যার যার পছন্দমতো চা বা কফি বেছে নেন যাত্রীরা। প্লেনের শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত আরামদায়ক আসন ব্যবস্থাতেও সন্তুষ্ট সবাই। শোনা গেলো বাংলা বলিয়ে কেবিন ক্রু আর ইন ফ্লাইট সার্ভিসের প্রশংসাও।
 
পাতায়া সৈকতের কাছে বাংলা খাবারের দোকান রয়েছে গাজীপুরের শরিফুল ইসলামের। প্রায় চার বছর তিনি পাতায়ায় ব্যবসা করেন। বাংলাদেশে আসেন প্রতি মাসে। সচরাচর থাই এয়ারে যাতায়াত করলেও এবার -ইউএস বাংলায় সওয়ার হয়েছেন তিনি।

বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছার পর  থাই এয়ারের পবিবর্তে ইউএস-বাংলায় ভ্রমণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন শরিফুল।

বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই থাইল্যান্ডের আকাশে মেঘের ঘনঘটা ছিলো। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও পড়ছিলো।   তাই ফ্লাইট ডিলে হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়েই ইউএস বাংলায় ঢাকা পৌঁছালাম। তারওপর বাম্পিং ওয়েদারেও নো জার্কিং। এটা ভাবাই যায় না।
 
সদলবলে থাইল্যান্ডের বেড়াতে গিয়েছিলেন সাইদুর, সুমন, তহসিফ, কাইসার ও শান্ত। ইউএস-বাংলায় ব্যাংকক ‍রুটে ভ্রমণ করতে পেরে খুশি সবাই।
 
বাংলানিউজকে সাইদুর বলেন, ১৩ মে ইউএস বাংলায় ঢাকা থেকে ব্যাংক গেছি। আজ ফের ঢাকায় ফিরলাম। দু’টো ফ্লাইটই আরামদায়ক ছিলো। উড়েছেও যথাসময়ে। অন্যান্য এয়ারলাইনসের তুলনায় এদের ভাড়াও রিজনেবল।
 
বিএস-২১৪ এর পাইলট ক্যাপটেন রুহুল কাদির ও ক্যাপটেন মশিউল আজমের দক্ষতা ও নৈপুণ্যেও মুগ্ধ নতুন রুটের যাত্রীরা। গত ৩ মে ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট চালু হয়। এই স্বল্প সময়েই যাত্রীদের মন জয় করেছে  তারা।  
 
সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার সপ্তাহে চারদিন অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা হচ্ছে ঢাকা-ব্যাংকক রুটে। ঢাকা থেকে ফ্লাইট ছাড়ছে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে উড়ছে ফিরতি ফ্লাইট। ওয়ানওয়ে জার্নিতে সময় লাগছে সাকুল্যে আড়াই ঘণ্টা।
 
ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা থেকে ব্যাংককে সব ধরনের ট্যাক্স ও সারচার্জসহ নূন্যতম ভাড়া ওয়ানওয়ে ১৫,৫৯৯ টাকা এবং রিটার্ন ২১,৫০০ টাকা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
এমআইএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।