ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

এভিয়াট্যুর

ইতিহাদ এয়ারওয়েজের গৌরবের ১০ বছর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের গৌরবের ১০ বছর ছবি: মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশে ১০ বছর স্বগর্বে পার করলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থা ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। ২০০৬ সালের ৪ মে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশে।

ঢাকা: হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশে ১০ বছর স্বগর্বে পার করলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থা ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। ২০০৬ সালের ৪ মে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশে।


 
বাংলাদেশে তাদের এক দশক উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তাদের অর্জন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে সাংবাদিকের মুখোমুখি হন সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের সহ-সভাপতি (ভারতীয় উপমহাদেশ) নিরজা ভাটিয়া বলেন, গর্বের সঙ্গে আমরা বাংলাদেশে ১০ বছর পার করলাম। এটা আমাদের জন্য পরম পাওয়া। সামনে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে চাই বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তির বিষয়ে ভিসা সুবিধাসহ নানা সুবিধাও দিতে চাই। ভারতীয় উপ মহাদেশে ইতিহাদ এয়ারওজের দ্বিতীয় বৃহত্তম মার্কেট বাংলাদেশ। যাত্রীসহ কার্গো পরিবহনেও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বাংলাদেশে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে।
 
তিনি আরও বলেন, ২০০৬ সালে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি যাত্রী পরিবহন করেছে ইতিহাদ। ৩৮০ আসন (৪০ আসন বিজনেস ক্লাস ও ৩৪০ ইকোনমি ক্লাস) বিশিষ্ট দুই ধরনের এয়ারক্রাফট বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যায় বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে। বিশেষ করে বোয়িং ৭৭৭-৩০০। ইতিহাদ এয়ারওয়েজের প্রধান গন্তব্য নিউইয়র্ক, টরেন্টো, শিকাগো, লন্ডন, প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুট, জেনেভা, মিলান, জুরিখ, রোম, জেদ্দা, মদিনা ইত্যাদি। বিশ্বের ৫৫টি দেশে ৮৫টি গন্তব্যে প্রতি সপ্তাহে ১৩শ’রও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ।
 
তিনি আরও বলেন, ভৌগলিক দিক বিবেচনা করে আবুধাবিকে পৃথিবীর অন্যতম স্থান বলে মনে করি। ভ্রমণকারী অতিথিদের জন্য আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইতিহাদের অনন্য ইউএস প্রি-ক্লিয়ারেন্স ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস সুবিধায় যুক্তরাষ্ট্রে ডমেস্টিক যাত্রী হিসেবে প্রবেশের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়িয়ে প্রবেশে অতিথিদের সাহায্য করে। আবুধাবিতে যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ৩০ মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয়।  যে কারণে বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াগামী শিক্ষার্থীদের চাপ অনেক বেশি। আবাসনসহ নানা সুবিধা আমরা যাত্রীদের দিয়ে থাকি। আগামী দিনগুলোতে আমরা যাত্রীসহ কার্গো পরিবহন সুবিধাও বৃদ্ধি করতে চাই।
 
তিনি আরও বলেন, যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি কার্গো পরিবহনেও দক্ষতা দেখিয়েছে ইতিহাদ। প্রতি সপ্তাহে তিনটি কার্গো ফ্লাইটের সেবা প্রদান করা হয় এবং ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার টন মালামাল পরিবহন করেছে। বাংলাদেশে আমাদের অতিথিদের ইতিহাদ এয়ারওয়েজ এবং তার পার্টনার এয়ারলাইন্সগুলোর মাধ্যমে বিশ্বের ৬০০টিরও বেশি গন্তব্যে বিশ্বমানের যাত্রী পরিসেবা দেওয়া হয়।
 
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের জেনারেল ম্যানেজার (বাংলাদেশ) হানিফ জাকারিয়া বলেন, বাংলাদেশে সবার সহযোগিতায় ১০ বছর পার করলাম। এতে আমরা অনেক গর্বিত। বাংলাদেশের মানুষের জন্য ইতিহাদ এয়ারওয়েজের পক্ষ্য থেকে যা করণীয় সব কিছুই করবো।  ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মধ্যে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের কমপ্লিমেন্টারি বাস সার্ভিস রয়েছে। যা ফ্লাইটের অতিথিদের যাতায়াত আরও সহজ করেছে।

ইতিহাদ এয়ারওয়েজের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এম সাহাবুদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।