ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

এভিয়াট্যুর

বিমান অফিসে ঢুকতে বাধা কর্মকর্তাদের, অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪
বিমান অফিসে ঢুকতে বাধা কর্মকর্তাদের, অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত

ঢাকা: সংস্থার অর্গানোগ্রাম প্রবর্তন, ইউনিফর্ম ভাতা চালুসহ ১৪ দফা দাবিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মীরা দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে আন্দোলনকারীরা বিমানের কর্মকর্তাদের কাউকে প্রধান কার্যালয় ‘বলাকা’য় প্রবেশ করতে দেননি।

কর্মীদের বাধা পেয়ে কর্মকর্তারা নিচতলায় বসে থাকেন। আবার কেউ কেউ প্রথম দিন অফিসে প্রবেশে বাধা পেয়ে বৃহস্পতিবার দেরিতে অফিসে এসেছেন।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। বুধবারও তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নেতারা জানান, দাবি না মানা হলে বৃহস্পতিবার আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।   

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বিমানের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বলাকা ভবনে জড়ো হতে থাকেন। এরপর একত্রিত হয়ে তারা বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বেসরকারি খাতে দেওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। শ্লোগানে শ্লোগানে তারা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বেসরকারি খাতে দেওয়ার উদ্যোক্তাদের ‘দালাল’ বলেও অভিহিত করেন।   

কর্মসূচির কারণে সকাল থেকে বলাকা ভবন প্রাঙ্গণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।  

আন্দোলনকারীদের থামাতে সম্প্রতি তৎকালীন বিমান মন্ত্রী ফারুক খান তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।  

ওই প্রেক্ষাপটেই সম্প্রতি শর্ত সাপেক্ষে এসব দাবির কয়েকটি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ। তবে বিনিময়ে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ বেসরকারি খাতে দেওয়ার বিরোধীতা করা যাবে না বলে শর্ত দেন। ওই শর্তে রাজি না হওয়ায় বিমান কর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিকুর রহমানের নেতৃত্বে গত ২৫ জুন থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন এয়ারলাইন্সের কর্মীরা।    

একই দাবিতে মঙ্গলবার ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন বিমানের কর্মীরা। এর আগে আন্দোলনকারীরা বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসাদ্দেক আহমেদের কার্যালয় ঘেরাও করেন।

কর্মীদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শতভাগ মেডিকেল ভাতা প্রদান, ক্যাজুয়ালদের চাকরি স্থায়ী করা, কার্যআহার ভাতা বৃদ্ধি, পার্সোনাল পে বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করা, বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের (বিএফসিসি) কর্মীদেরও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের কর্মীদের সমান সুবিধা দেওয়া।

একই সঙ্গে কর্মীরা সরকারের ঘোষিত সময়েই মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

বিমানের কর্মীদের দাবি অনুযায়ী সরকারের ঘোষণার চার মাস পর বিমান মহার্ঘ ভাতা চালু করে। তাই পেছনের চার মাস ভাতা প্রদান করতে হবে।     
  
বিমানের কর্মীরা গত বছরের জানুয়ারিতে ইউনিফর্ম ভাতা চালু, আহার ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন  দাবিতে আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনের এক পর্যায়ে তারা বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন। দাবি বাস্তবায়নে তারা কর্মবিরতি এবং ধর্মঘটের মতো কঠোর আন্দোলনে যান।
  
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।