ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

এভিয়াট্যুর

ঝুঁকিপূর্ণ উড্ডয়নে ইউনাইটেড, ড্যাশ ৮ গ্রাউন্ডেড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৪
ঝুঁকিপূর্ণ উড্ডয়নে ইউনাইটেড, ড্যাশ ৮ গ্রাউন্ডেড ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে নিম্নমানের যাত্রীসেবা, যাত্রী হয়রানির অভিযোগ নতুন নয়। এবার শুরু করেছে ঝুঁকিপূর্ণ উড্ডয়ন।

   

ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এরই মধ্যে এয়ারওয়েজের ড্যাশ ৮-১০০ উড়োজাহাজটি গ্রাউন্ডেড হয়েছে। এই নিয়ে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৬টি উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড হলো। এয়ারওয়েজের বহরে ১১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি উড়োজাহাজ আগে থেকেই গ্রাউন্ডেড ছিল।

৫টি গ্রাউন্ডেড (অচল) উড়োজাহাজের সঙ্গে ২৭ মে যোগ হলো ড্যাশ ৮-১০০ উড়োজাহাজটি।

বাংলাদেশ বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে ইউনাইটেডের ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজ। কিন্তু উড়োজাহাজটি সৈয়দপুরে পৌছার আগেই ঝড়ের কবলে পড়ে। উড়োজাহাজের ওয়েদার রাডার কাজ না করায় বৈমানিক হঠাৎ এই ঝড়ের মুখে পড়ে রাজশাহীতে চলে যেতে বাধ্য হন। পরে রাজশাহী থেকে ওই বৈমানিককে আবার সৈয়দপুর যেতে বলা হয়। কিন্তু বৈমানিক ওয়েদার রাডার ছাড়া পুনরায় সৈয়দপুরে যেতে অস্বীকার করেন।

বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, উড়োজাহাজের ওয়েদার রাডার ঠিক থাকলে বৈমানিককে এই বিপদে পড়তো হতো না। একটি উড়োজাহাজের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ এই ওয়েদার রাডার। অথচ এটি ছাড়াই ঢাকা থেকে ফ্লাইট ছাড়ে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের ফ্লাইট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বৈমানিকের বুদ্ধিতে ভাগ্যক্রমে যাত্রীরা বেঁচে গেছেন।

বিমান চলাচল সূত্রে জানা গেছে, ওয়েদার রাডার ছাড়াও আরো একটি যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাধ্য হয় উড়োজাহাজটি গ্রাউন্ডেড করতে।      

১১টি উড়োজাহাজের মধ্যে এয়ারবাস ৩১০ দু’টি, এমডি ৮৩ পাঁচটি, এটিআর ৭২ তিনটি এবং ড্যাশ ৮-১০০ একটি।   

দু’টি এয়ারবাসের একটি সব সময়ই অচল থাকে। বর্তমানে পাঁচটি এমডি ৮৩ এর মধ্যে তিনটি এবং তিনটি এটিআর ৭২ উড়োজাহাজের একটি অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে একটি এটিআর ৭২ এক মাসের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে। ইঞ্জিন না থাকায় এটি সচল করা যাচ্ছে না। আর কখনোই এক সঙ্গে দু’টি এয়ারবাস ৩১০ উড়োজাহাজ সচল থাকে না। যখনই কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় তখন একটি এয়ারবাসের যন্ত্রাংশ খুলে আরেকটিতে লাগানো হয়। এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে চলছে ইউনাইটেডের এয়ারওয়েজ।     

এ বিষয়ে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের মুখপাত্র ও অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) কামরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।