আল মাহমুদ নিজে উপস্থিত নেই। তারপরও তাঁর কবিতা নিয়ে কথা, আড্ডা, আবৃত্তি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ কবি শহীদ কাদরী বললেন, কবি আল মাহমুদের কবিতা বাংলা কবিতার শত শত বছরের ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। তৈরি করেছে নতুন বাঁক। তাঁর কবিতার গীতল ধারা আমাদের সংস্কৃতির উত্তরাধিকার।
৩ মার্চ ২০১২ শনিবার বিকেলে নিউইয়র্কের জ্যামাইকার একটি মিলনায়তনে ছিল ‘একটি কবিতা সন্ধ্যা’র চতুর্থ অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানের প্রধান কবি ছিলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব আল মাহমুদ।
নীরা কাদরীর পরিচালনায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ছিল চারটি পর্ব। প্রথম পর্বে কবি আল মাহমুদের কবিতা আবৃত্তি করেন ইভান চৌধুরী, জাকির হোসেন আরজু, সেমন্তী ওয়াহেদ, ফারুক আজম ও রওশন আরা লিপি। কবিতাগুলো হলভর্তি দর্শক-শ্রোতাকে তন্ময় করে রাখে।
দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের দু’জন অন্যতম কবির কবিতা পাঠ করা হয়। কবি আবিদ আজাদের একগুচ্ছ কবিতা পাঠ করেন ফারুক ফয়সল। এসময় আবিদ আজাদের কবিতার মূল্যায়ন করতে গিয়ে শহীদ কাদরী বলেন, আবিদ আজাদ তাঁর কর্মের তুলনায় বেশি আলোচিত হননি। অকাল প্রয়াত এই কবির ‘খেলনা যুগ’ কবিতাটি শহীদ কাদরী নিজেই পাঠ করে বলেন, বাংলা সাহিত্য কেন, গোটা বিশ্ব সাহিত্যে এমন চমৎকার কবিতা লিখিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তিনি আবিদের কবিতা আরো পঠিত হবার আহ্বান জানান।
এই পর্বে আরেক মেধাবী কবি আবুল হাসানের একগুচ্ছ কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিকার-নাট্যজন মুজিব বিন হক।
শহীদ কাদরী আবুল হাসানের সাহিত্যকর্মের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, আবুল হাসান জানতো সে বেশিদিন বাঁচবে না।
তারপরও কবিতার প্রতি তাঁর বোহেমিয়ান সে সময়ে প্রেম আমাদের আপ্লুত করতো। তাঁর কবিতার মেজাজ ও তেজ আমাদের চিরকাল শাণিত করে যাবে।
তৃতীয় পর্বে ছিল স্বরচিত কবিতাপাঠ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ০৬ মার্চ, ২০১২