ঢাকা: জলপরীর কথা কিছু নতুন নয়। কিন্তু কখনও শুনেছেন জলবেশ্যার গল্প? শোনা না থাকলেও আর কিছুদিনের মধ্যেই পর্দা জুড়ে ভেসে উঠবে পরিচালক অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জলবেশ্যা’।
গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড জলকে ঘিরেই। জলের মাঝের এক দ্বীপ। যেখানকার মস্ত এক মশলার বাজারে চলতে থাকা নানা রকমের ছোট বড় বিক্রেতাদের রোজকার কেনাবেচার মাঝেই জাজ্বল্যমান বেদেনী বেহুলা সুন্দরীর জল-শরীর আর প্রেমের মাখামাখি খেলা। সুডোল শরীরের তামাটে টানে বেহুলা ডেকে আনে পকেট মোটা ব্যাবসায়ীদের তবে শরীর ভোগের কথা শুনলেই ছেড়ে দেয় পোষা নাগ নাগিনীদের। এরপরে মালকড়ি লুঠে নিয়ে ফেলে দেয় তাদের নৌকা থেকে। এভাবেই গল্পের সঙ্গে সঙ্গেই চলেছে নগ্ন নাচ, আইটেম নম্বরের যৌন ইঙ্গিত আর নদীকেন্দ্রিক মোহখেলা! ছবির নায়ক আবার কিছুটা রবিনহুডের স্টেপ ফলো করেই যেন ছোটো খাটো ব্যাবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে চলে প্রাণপন আর ভিলেন আবেদ নানান ফাঁদে ফেলে ভরপুর ভোগ করে যায় বেদেনীকে। এতগুলো ভিন্ন স্বাদের চরিত্রের মাঝে পরিচালক রেখেছেন এক আশ্রম গুরু কে, যার সব ধর্মে বিশ্বাস। আবেদের লেলিহান যৌন ক্ষুধা থেকে বাঁচতে অনেক নারীই তার কাছু ছুটে যায় ‘শেল্টার’ নিতে। এখানে গুরুকেই কখনও কখনও আসল নায়ক বলে মনে হতে পারে দর্শকদের। ঠিক বলিউডি কেতায় নির্যাতিত নারীদের রক্ষার স্টাইল দেখে!
সুন্দরবন ও কেরালা মিলে চলতে থাকা ছবির শ্যুটিংয়ে জল তো পাওয়া যাবে প্রচুর, শরীর স্রোতের হাজার তরঙ্গও উঠবে নাকি। তবে ছবির শুরুতেই সামান্য এক বেদেনীর বেশ্যাবৃত্তির কারণ খুব একটা স্পষ্ট নয়। একদিকে সে নায়ক রাজার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে, আরেকদিকে রসের নাগরদের জড়ো করে রুপ-যৌবনের বিদ্যুৎ ঝলক দেখিয়ে লুঠে নিচ্ছে তার সবকিছু। প্রেম আর পয়সার টান। ব্যাপারটা ঠিক খাপ খাচ্ছে না। এরই মাঝে আবেদের নজর বাড়তে থাকে বেহুলার ওপর এবং একদিন সে হঠাৎই নাচতে বাধ্য করে তাকে। বেউলার নাচে ক্ষুব্ধ রাজা আবেদকে কঠিন শাস্তি দেয় ও একঘেঁয়ে ভাবেই ছবির শেষে নায়ক নায়িকার মিলন হয়!
নতুন স্বাদের ছবি, নায়ক (সমিধ তেওয়ারি) নায়িকার (বেদেশ্রী) নতুন মুখ দেখা ও জলবেশ্যা ব্যাপারটা ঠিক কেমন হয় এই নিয়েই আপাতত কলকাতায় চলছে অজস্র কৌতুহল আর অপেক্ষা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১২