বইমেলা থেকে: রাগ, ক্ষোভ ও হতাশা নিয়েই শেষ হলো ছোটকাগজ প্রাঙ্গণের বইমেলা। বহেরা তলায় লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে প্রতিবারের মতো এবারো বসেছিল ছোট কাগজের স্টলগুলো।
এবারো ছোট কাগজের লেখক, সম্পাদক, পাঠক ও কর্মীরা বহেরা তলায় জমিয়েছেন আড্ডা। তবে তারা জানালেন আগের মতো পরিবেশ আর নেই। ছোট কাগজ প্রাঙ্গণ দখল হয়ে যাচ্ছে নানা ধরনের সংগঠনের স্টল আর প্রকাশনীর স্টলে। এছাড়া এখানে স্টল বরাদ্দ পেয়েছে মিডিয়া ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
বাংলানিউজকে বেশ কয়েকজন ছোট কাগজ কর্মী জানালেন তাদের রাগ-ক্ষোভের কথা। ‘গাণ্ডীব’-এর সম্পাদক তপন বড়ুয়া বললেন ‘২৫ বছর ধরে ছোট কাগজ আন্দোলন করছি। বাংলা একাডেমীর ছোট কাগজের জন্য আলাদা কোন বিভাগ নেই। ছোট কাগজ চত্বরে অনেকেই ঢুকে পড়ছে। যারা ছোট কাগজ পড়ে না বা ছোট কাগজের সাথে কোন সম্পর্কই নেই তারাও এই চত্বরে স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। বাংলা একাডেমী ছোট কাগজ সংগ্রহও করে না। ’
ছোট কাগজ ‘জঙশন’-এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য নাভিল মানদার বললেন ‘বড় লেখক-প্রকাশকেরা ব্যবসা করে বইমেলায় তাদের বরাদ্দ পাওয়া স্টলে। আর আড্ডা দিতে আসে এখানে। তারা নিজেদের বরাদ্দকৃত জায়গার বাইরেও এখন ছোট কাগজের প্রাঙ্গণটাকেও ব্যবসার কাজে লাগাতে চায়। আমরা ছোট কাগজের লোকেরা তো আর তাদের জায়গায় গিয়ে দখল করে রাখি না। ’
সাম্প্রতিক সময়ে ছোট কাগজের পূর্বের জৌলুশ হারিয়ে যাচ্ছে। লিটল ম্যাগাজিনের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন ‘লিটল ম্যাগ তো ছড়ানোর ব্যাপার, শুধুমাত্র শাহবাগে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বাংলাদেশের সর্বত্র লিটল ম্যগাজিন আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। ’
রাগ-ক্ষোভ যাই থাকুক আজ মেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি সব মিলেই সমাপ্তি হতে যাচ্ছে এবারের বইমেলা। এখন দেখার বিষয় এবারের অভাব, অভিযোগ আগামী বইমেলায় নির্মূল হয় কিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১২