ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

‘বাংলার সক্রেটিস’কে নিয়ে বইমেলায় আলোচনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২
‘বাংলার সক্রেটিস’কে নিয়ে বইমেলায় আলোচনা

বইমেলা থেকে: বাংলার সক্রেটিসখ্যাত জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক গোটা সমাজকেই ‍তার সংসার করে তুলেছিলেন।

বৃহস্পতিবার একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে প্রয়াত এ বুদ্ধিজীবীকে নিয়ে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান এ মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশের একজন দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবী। ১৯৭৫ সালে সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত করে।   ১৯১৪ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পারাগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আহমদ ছফা তাকে নিয়ে "যদ্যপি আমার গুরু" নামে একটি বই রচনা করেছেন। এছাড়া সরদার ফজলুল করিম তার সঙ্গে আলাপচারিতার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি বই লিখেছেন  ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজঃ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের আলাপচারিতা’। ১৯৯৯ সালের ২৮ নভেম্বর ৮৫ বছর বয়সে তিনি পরলোকগমন করেন।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, আবদুর রাজ্জাক গোটা সমাজকেই তার সংসার করে তুলেছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলার সক্রেটিস। প্রগাঢ় পাণ্ডিত্যের মধ্য দিয়ে তিনি পরিণত হয়েছিলেন জাতির শিক্ষকে।

‘বাংলার মনীষা : আবদুর রাজ্জাক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে অধ্যাপক রাজ্জাক যুক্তির পতাকা উত্তোলন করেছেন। যার মধ্য দিয়ে একটি ন্যায়ানুগ ও কল্যাণকামী সমাজ-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রণোদনা পাওয়া যায়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান কখনও বিস্মৃত হবার নয়। ’

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক প্রকৃত অর্থেই ছিলেন বাংলার মনীষা। মাতৃভাষা বাংলাকে শিক্ষার বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যেমন জোর মত প্রচার করেছেন তেমনি বাঙালি জাতির সদর্থক বিকাশের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই চালিয়ে গেছেন। তার স্বল্পসংখ্যক রচনার মধ্যে তিনি যে গভীর জীবনদৃষ্টি ও ভাবুকতার উদাহরণ রেখে গেছেন তার উদাহরণ সমকালে সত্যি বিরল।

তিনি বলেন, ‘বাঙালি জীবন ও সমাজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আবদুর রাজ্জাক রূপান্তরিত হয়েছেন মহীরুহে। তার চিন্তার কাছ থেকে আমরা জাতিগঠনের উপাদান পাই। ’

আলোচনায় মীজানুর রহমান শেলী বলেন, ‘মানুষের ভেতর তিনি পৃথিবীর সন্ধান করেছেন। তিনি কর্তৃত্ববাদী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবল বিরোধী ছিলেন। প্রশ্নশীলতার বোধ সঞ্চারের মধ্য দিয়ে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের ভেতর জ্ঞানের অবিনাশী প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।