নিউইয়র্ক: মহান একুশ উপলক্ষে নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে ৯ দিনব্যাপী একুশের বইমেলা। জ্যাকসন হাইটসে এর আয়েজন করেছে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন।
কবি ইকবাল হাসান বলেন, প্রবাসে যেমন দলাদলি আছে, বিভাজন আছে, তেমনি সৎ মানুষও আছে। যারা নীরবে নিভৃতে শুধু কাজ করে যায় মানুষের মঙ্গলের জন্য, আমরা সেসব মানুষকে, সংগঠনকে শ্রদ্ধা করবো, ভালবাসবো, সহযোগিতা করবো। এই হোক আমাদের একুশের শপথ।
২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে জাতিসংঘের একুশের প্রথম প্রহর পালনের মধ্য দিয়ে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের একুশের কর্মসূচি শুরু হয়। তার আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত একুশের বইমেলা উদ্বোধন করেন তিনি।
ইকবাল হাসান বলেন, উত্তর আমেরিকায় বাঙালির মননে মুক্তধারা একটি বড় জায়গা করে নিয়েছে। প্রবাসে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি বিকাশে মুক্তধারার নিরলস প্রচেষ্টা এবং দুই বাংলার মধ্যে সেতুবন্ধন এবং সাহিত্যের আদান প্রদানে ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি একুশের এবং বাংলা একাডেমীর পুরস্কারের সমালোচনা করে বলেন, এই দু’টি পুরস্কার সরকারিকরণ করে এর সম্মান নষ্ট করে ফেলেছে। একজনকে বাংলা একাডেমী আবার একুশে পুরস্কারর দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে পাচ্ছে একুশে পুরস্কার। এ বিষয়ে আমি ‘ইদুর দৌড়’ শিরোনামে সমকালে একটি লেখাও লিখেছি।
এসময় মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিত সাহা প্রবাসের সকল সংবাদ মাধ্যম এবং প্রবাসী বাঙালিদের জাতিসংঘের সামনে সুশৃঙ্খল এবং স্বতস্ফুর্তভাবে একুশের অনুষ্ঠান পালন করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
গত ২১ বছর ধরে মুক্তধারার পথ চলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি প্রবাসী বাঙালিদের অকৃপণ ভালোবাসাই এর মূল চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেন।
ফাহিম রেজা নূরের উপস্থাপনায় বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের, জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাংবাদিক নিনী ওয়াহেদ, শিহাবউদ্দীন কিসলু বইমেলা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সেমন্তী ওয়াহেদ, মুরাদ আকাশ, ফকির সেলিম কবিতা আবৃত্তি করেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জ্যাকসন হাইটসের মুক্তধারার একুশের বইমেলা চলবে। এবছর বইমেলায় প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদ, সৈয়দ শামসুল হক, আনিসুল হক, মুনতাসীর মামুন, জ্যোতিপ্রকাশ দত্তসহ বিভিন্ন লেখকের ৪০টি নতুন বই স্থান পেয়েছে। ২৯ তারিখ পর্যন্ত নতুন বই আসা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১২