ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

প্রাণের টানে বই মেলায় আসেন অন্ধ রুদ্র

মহিউদ্দিন মাহমুদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২
প্রাণের টানে বই মেলায় আসেন অন্ধ রুদ্র

ঢাকা: ভালবাসার টানে সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে মানুষ তার ভালবাসার কাছে ছুটে যায়।

তেমনি ভাষার প্রতি, ভাষার মাসের বইমেলার প্রতি অগাধ ভালবাসার টানে চোখের দৃষ্টিশক্তি না থাকলেও অন্তরের চোখে বইমেলাকে দেখতে, বইমেলার কোলাহল অনুভব করতে, নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকতে মেলায় ছুটে এসেছেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রুদ্র।



মেলা প্রাঙ্গনের একজনকে দর্শনার্থীকে তার দুই বন্ধুর কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটতে দেখে কৌতূহল বশত তার সর্ম্পকে জানার আগ্রহ। এর পর মেলার মিডিয়া সেন্টারে বসে বইমেলার অনুভুতি নিয়ে কথা হয় কিছুক্ষণ।

রফিকুল ইসলাম রুদ্র (২১) বাংলানিউজকে বলেন, অন্যদের মতো চোখে দেখার অনুভুতি থেকে আমি বঞ্চিত। তাই শুধু হৃদয় দিয়েই বই মেলাকে অনুভব করি। মেলায় মানুষের ভিড়, বইয়ের বেচাকেনা, মেলা নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস গভীরভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা করি।

বই বেচাকেনা কিংবা মানুষের ভিড় আপনি ভাবে বুঝতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রুদ্র বলেন, ‘মেলা ঘুরতে ঘুরতে মাঝে-মধ্যে বইয়ের দোকানে পাশে দাঁড়িয়ে বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের কথা-বার্তা, দর-দাম শুনি। বই নিয়ে দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাসের কথা শুনে নিজের কাছে খুব ভালো লাগে। লোকজনের কোলাহল এসব শুনে শুনে বই মেলার অবস্থা সর্ম্পকে অনুভব করি।

মেলায় ঘুরতে আসা এই রফিকুল ইসলাম রুদ্র চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি এর আগে ঢাকা কলেজ থেকে অন্ধদের পড়াশুনার বিশেষ পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন।

জন্ম থেকেই অন্ধ রুদ্রের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলা সদরে। তিনি গাজীপুরের টঙ্গী থেকে মেলায় এসেছেন। দৃষ্টিহীন হওয়ায় খুব একটা আসতে না পারলেও এর আগেও তিনি দু’একবার মেলায় এসেছেন বলে জানান তার বন্ধুরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।