ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

বাংলা একাডেমিতে ‘লেখক শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
বাংলা একাডেমিতে ‘লেখক শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা বাংলা একাডেমিতে ‘লেখক শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ‘লেখক শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনার এবং শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

একইসঙ্গে এ আয়োজনে শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এসময় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যতটা আলোচিত হয়েছেন, লেখক শেখ হাসিনাও ঠিক ততটা আলোচনা পাওয়ার দাবিদার। আমরা মনে করি তার সংগ্রামী জীবন ও রাজনীতি যেমন গবেষণার বিষয়, তেমনি তার লেখকসত্তাও গভীর গবেষণার দাবি রাখে। শেখ হাসিনার রচনায় জীবনের বৈচিত্র্যের পাশাপাশি উৎসারিত হয়েছে গভীর বেদনাবোধ। আমরা সবাই জানি কী তার বেদনা, কী তার শোক। বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারকে হারিয়ে যিনি সমগ্র দেশবাসীকে বরণ করে নিয়েছেন আপন পরিবার হিসেবে, তার পক্ষেই সম্ভব অসাধারণ ও অতুলনীয় ত্যাগ, শ্রম, মেধা ও দক্ষতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এভাবে অব্যাহত এগিয়ে নেওয়া। ’

আলোচনায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা রচিত গ্রন্থগুলোতে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণিত ঘটনাগুলোর তীব্র-তীক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ যেমন আমাদের নতুন পথের সন্ধান দেয়, তেমনি মুজিববর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শতবর্ষ স্মারকগ্রন্থসহ তার সম্পাদিত গ্রন্থ ও গোয়েন্দা দলিলপত্র উত্তর প্রজন্মের জন্যে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজবাস্তবতার গতিপথ অনুধাবনে সচেতন ও সতর্ক হতে সহায়তা করে। তাই শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থগুলো পাঠ করা আমাদের জন্যে অপরিহার্য। ’

হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘শেখ হাসিনা রচিত গদ্যে স্মৃতির দখিন দুয়ার খোলা থাকে সতত। তিনি সে দুয়ার খুলে দেখেন ফেলে আসা সময়, জনমানুষ ও জীবন। অন্যদিকে স্বদেশ, সমাজ এবং বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে গভীর ভাবনার পাশাপাশি ভাগ্যবঞ্চিত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের রূপকল্পনায়ও উদ্ভাসিত তার প্রবন্ধপট। ‘ওরা টোকাই কেন’ থেকে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইগুলোর নিবিড় পাঠে আমরা এ সত্যের সন্ধান পাই। ’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রনায়ক ও বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা লেখক হিসেবেও বিশিষ্টতার দাবিদার। এ পর্যন্ত প্রকাশিত তার গ্রন্থগুলো ধারণ করেছে নিজের ঘটনাবহুল জীবনের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অজানা কথা, দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা, সর্বোপরি একজন অসাম্প্রদায়িক-প্রগতিশীল মানুষের স্বপ্ন ও সংকল্প। শেখ হাসিনার রচনা-কুশলতা, ভাষাভঙ্গি, গদ্যশৈলী প্রমাণ করে লেখক হিসেবেও তিনি অনন্য ও স্বতন্ত্র। ’

আয়োজনে শেখ হাসিনাকে নিবেদন করে লেখা নির্মলেন্দু গুণের ‘পথে পাথে পাথর’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী আহ্‌কামউল্লাহ। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক-লেখক আবেদ খান, কবি তারিক সুজাত, লেখক নূরুল করিম নাসিম প্রমুখ। আর শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এইচএমএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।