ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার পাচ্ছেন ড. তুহিন ওয়াদুদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার পাচ্ছেন ড. তুহিন ওয়াদুদ

রংপুর: উদ্ভিদ সংরক্ষণ, নদী বিষয়ক গবেষণা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়া বাংলানিউজকেও তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কলাম লেখক ও শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তরুপল্লবের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কারের জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারের মূল্যমান ৫০ হাজার টাকা। এই পুরস্কারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে সিটি ব্যাংক লিমিটেড।

প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর তরুপল্লবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বরেণ্য নিসর্গী অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুরস্কার অর্পণের আনুষ্ঠানিকতা পরিহার করে সীমিত উপস্থিতিতে কোনো একটি সুবিধাজনক সময়ে পুরস্কারটি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

ড. তুহিন ওয়াদুদ ১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বোতলারপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ২০০৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

২০০৬ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে পেশাজীবন শুরু করেন তিনি। এরপর ২০০৯ সালে রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যোগদান করেন।  

বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যতম বৃক্ষ প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ব্যক্তি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় ৩৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করেছেন। সেই ৩৫ হাজার বৃক্ষ এখন গোটা ক্যাম্পাসকে সবুজে মুড়িয়ে রেখেছে।

দেশের নদী নিয়ে তিনি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকগুলোয় শতাধিক নিবন্ধ লিখছেন। এ পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের দুই শতাধিক নদী পরিদর্শন করেছেন, নদীর বর্তমান অবস্থা দেখেছেন, তথ্য সংগহ করেছেন, নদীর ছবি তুলেছেন এবং রচনা করেছেন ‘রংপুর অঞ্চলের নদ-নদী’ শীর্ষক গ্রন্থ।  

এছাড়াও নদীবিষয়ক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপল’র সক্রিয় পরিচালকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি পোস্ট ডক্টারাল ফেলোশিপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও সাহিত্যে বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রভাব’ বিষয়ে গবেষণা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
এইচএমএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।