ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর আর নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২০
বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর আর নেই মুর্তজা বশীর

ঢাকা: বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর (৮৮) আর নেই।  শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।   

শনিবার (১৫ আগস্ট) শিল্পীর পারিবারিক বন্ধু আলোকচিত্রী মোহাম্মদ আসাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মুর্তজা বশীর দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ শুক্রবার তার করোনা পরীক্ষা করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে৷ শুক্রবার থেকে তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না৷ পরে শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷

চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে। তিনি ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।

৮৮ বছর বয়সী এ চিত্রশিল্পীকে এর আগেও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান মুর্তজা বশীর। একই কাজে স্বাধীনতা পুরস্কার পান ২০১৯ সালে। কর্মজীবনে তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বাংলাদেশে বিমূর্ত ধারার চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ মুর্তজা বশীরের ‘দেয়াল’, ‘শহীদ শিরোনাম’, ‘পাখা’, ‘রক্তাক্ত ২১শে’ শিরোনামের চিত্রকর্মগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পেইন্টিং ছাড়াও ম্যুরাল, ছাপচিত্রসহ চিত্রকলার বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া লিখেছেন বই এবং গবেষণা করেছেন মুদ্রা ও শিলালিপি নিয়েও।

** আমার বাবা পূর্ণাঙ্গ জীবন পেয়েছেন: মুনিরা বশীর
** তিনি মুছে গেলেও কর্মের মধ্য দিয়ে জ্বলবেন চিরদিন
** বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন মুর্তজা বশীর
** মুর্তজা বশীর দেশ ও জাতিকে আলোকিত করেছেন
** মুর্তজা বশীরের সৃষ্টি ও কর্ম অনুপ্রেরণার উৎস: রাষ্ট্রপতি
** চিত্রকলার বিকাশে মুর্তজা বশীরের অবদান অনন্য: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২০
ডিএন/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।