ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলনের চেষ্টা করবো: শামসুজ্জামান 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলনের চেষ্টা করবো: শামসুজ্জামান 

ঢাকা: বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করবো।

রোববার (২৮ জুন) বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজকে একথা বলেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান৷

রোববার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে শামসুজ্জামান খানের নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। আগামী তিন বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন শামসুজ্জামান খান।

সভাপতির দায়িত্ব ও অন্য কার্যাবলী ‘বাংলা একাডেমি আইন-২০১৩’ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে।

সবশেষ সভাপতি জাতীয় অধ্যপক আনিসুজ্জামান ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে আমৃত্যু এ পদে আসীন ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার দেড় মাসের মাথায় তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন শামসুজ্জামান খান৷

শামসুজ্জামান খান বলেন, বাংলা একাডেমির সভাপতি পদটি সাম্মানিক। ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে আসীন হওয়াটা অবশ্যই আনন্দের। আমি আনন্দিত এবং গর্বিত।

বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন শামসুজ্জামান খান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনিস স্যারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়াটা অবশ্যই আনন্দের ও গর্বের।

সোমবার (২৯ জুন) বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি। এর আগে ২০০৯ সালের ২৪ মে থেকে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সবশেষ তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫৫ সালে বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর ১৯৫৭ সালের ১০ আগস্ট প্রথম সভাপতি পদে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত পদাধিকারবলে পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার আগে বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ, মোহম্মদ বরকতুল্লাহ, মুহম্মদ কুদরাত–এ–খুদা ও সৈয়দ মুর্তজা আলী।

দেশ স্বাধীনের পর প্রথম বাংলা একাডেমির সভাপতি হন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এরপর সভাপতির দায়িত্ব আবারও পান সৈয়দ মুর্তজা আলী। বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে আরও দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ আলী আহসান, আফমু আবদুল হক ফরিদী, ড. আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ, ড. আবদুল্লাহ আল–মুতী শরফুদ্দীন, গাজী শামছুর রহমান, বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী, গাজী শামছুর রহমান, কবি শামসুর রাহমান, অধ্যাপক ওয়াকিল আহমদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন–উর–রশিদ এবং জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী।

সবশেষ সভাপতি জাতীয় অধ্যপক আনিসুজ্জামান ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে আমৃত্যু এ পদে আসীন ছিলেন। এর আগে ১৯৯৯ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্তও তিনি সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় তিনি পদত্যাগ করেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বাংলা একাডেমির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
ডিএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।