বাংলা সাহিত্যের পাঠকপ্রিয় কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদের আজ জন্মদিন। নাসির আহমেদ ১৯৫২ সালের এদিনে ভোলা জেলার আলীনগর গ্রামে জন্ম নেন।
প্রতি বছরই নাসির আহমেদের জন্মদিনে তার কবিতা ও গান নিয়ে সারগাম ললিতকলা একাডেমী আর স্বপ্নকুঁড়ি আড্ডার আয়োজন করে। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না।
নাসির আহমেদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান, অল্প কয়েকদিন আগে বড় বোনের মৃত্যু হওয়ায় এবার আর ওভাবে জন্মদিন পালন করছি না। সকলকে বাসাতেই আসতে বলেছি ঘরোয়া আড্ডার জন্য।
ষাট বছরের জন্মদিনের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন ‘আসলে জন্মদিন মানে তো আপাত আনন্দের, কিন্তু এর অন্তরালে রয়েছে অন্য অনুভূতি। জন্মদিন মানেই তো মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া। শৈশবে জন্মদিন ছিল আনন্দের, তবে পঞ্চাশের পরের জন্মদিনগুলো হলো মোমের মতো কমতে থাকা।
এরপরও যখন দেখি চেনা-জানা কিংবা অচেনা কেউ যখন শুভেচ্ছা জানায় তখন মনে হয় জন্ম আমার ধন্য হলো।
নাসির আহমেদ ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা শুরু করেন। সাপ্তাহিক গণমুক্তি, দৈনিক বাংলা, দৈনিক জনকণ্ঠে সাংবাদিকতা শেষে ২০০৮ সালে দৈনিক সমকালের ফিচার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি সমকালের সহযোগী সম্পাদক।
এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২৪। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : আকুলতা শুভ্রতার জন্য, তোমাকেই আশালতা, বৃক্ষমঙ্গল, তোমার জন্য অনিন্দিতা, একাত্তরের পদাবলী, বিধ্বস্ত শহর ছেড়ে যেতে যেতে, শ্রাবণের দুঃখ পদাবলী প্রভৃতি।
কবিতা, গান, টিভি নাটক, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, শিশুসাহিত্য, কলামসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তার সমান দক্ষতা। কবিতা, নাটক ও সঙ্গীত রচনার জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার, বিষ্ণু দে পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পদক, বাচসাস পুরস্কার, চন্দ্রাবতী একাডেমী পুরস্কার, কবি মোজাম্মেল হক ফাউন্ডেশন গুণীজন সম্মাননা, স্ট্যান্ডার্ড এডুকেয়ার স্বর্ণপদক, কাব্যকলা পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৫৫৬, ডিসেম্বর ০৫, ২০১১