ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

সংস্কৃতির বিনিময় পর্যটন বিকাশে সহায়ক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
সংস্কৃতির বিনিময় পর্যটন বিকাশে সহায়ক উপস্থিত অন্য অতিথিদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী (পাঞ্জাবি পরিহিত)/ছবি- শাকিল

ঢাকা: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, সংস্কৃতির বিনিময় পর্যটন বিকাশে সহায়তা করে। সংস্কৃতির এই বিনিময় উভয় দেশের জনগণকে লাভবান ও পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে ‘নেপালি-বাংলা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগত।

বাংলাদেশ ও নেপালের জনগণের মধ্যকার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক হাজার বছরের পুরনো। নেপালের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা মৈথালি ভাষার কবি বিদ্যাপতি এবং তার কর্ম আমাদের মধ্যযুগীয় সাহিত্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক নৈকট্য, বিনিময়কৃত মূল্যবোধ এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে দুই দেশের সমমত আমাদের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক গভীর করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত। একুশ শতকের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা মোকাবেলা এবং আমাদের মধ্যকার সম্ভাবনাকে বিকশিত করে বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য উভয় দেশকেই পরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে নেপালের ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, নেপাল বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সরকার ও জনগণ তাদের সমর্থন ও সমমর্মিতা নিয়ে আমাদের পাশে ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতিদানকারী ৭ম দেশ নেপাল। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্তরিকতা, সদিচ্ছা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটনখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নেপাল উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষায় দুই দেশই পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একত্রে টাইগার প্রজেক্টে কাজ করছে। দুই দেশের মধ্যকার জনগণের সম্পর্ক, পর্যটন ও বাণিজ্যের উন্নয়নে এরইমধ্যেই ঢাকা-কাঠমাণ্ডু সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যটনের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে। পর্যটন, ট্রাভেল এজেন্ট এবং ট্যুর অপারেটরদের উন্নয়নে দুই দেশের সম্মিলিতভাবে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

মাহবুব আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। তার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য পরিচালনার সুবিধার্থে কাকরভিটা-ফুলবাড়ী-বাংলাবান্ধা রুটটি ১৯৯৭ সাল থেকেই চলমান রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ প্রতি বছর চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়নে নেপালি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বৃত্তি দিয়ে থাকে।

তিনি এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটিসহ অন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ডন বাহাদুর ওলি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো বেশ কয়েকটি দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নেপাল কালচারাল কর্পোরেশন ও বাংলাদেশের শিল্পীরা গান ও নাচ পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
টিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।