ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

বইমেলার পঞ্চম দিনেও স্টলে বসেনি নম্বর

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
বইমেলার পঞ্চম দিনেও স্টলে বসেনি নম্বর এখনো স্টলে বসেনি নম্বর প্লেট | ছবি: ডিএইচ বাদল

বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৫ম দিনে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে তারা বিভ্রান্ত হয়েছেন কাঙ্ক্ষিত স্টল খুঁজতে গিয়ে। অধিকাংশ স্টলে নম্বর না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় মেলার দুয়ার খোলার পর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেই তারা কাঙ্ক্ষিত স্টল খুঁজতে গিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন।

উত্তরা থেকে বইমেলায় এসেছেন মিমা রহমান। কলেজের বন্ধুদের নিয়ে ঘুরছিলেন তিনি। খুঁজছিলেন ১২৯-১৩১ নম্বর স্টল। কিন্তু সেটা খুঁজতে বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছে তাকে। প্রায় আধাঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর স্টলটি খুঁজে পেয়েছেন মিমা রহমান।
পেয়ে গেছেন পছন্দের বই, তাই স্টলের সামনে দাঁড়িয়েই খানিকটা পড়ে নিচ্ছেন বইপ্রেমীরা  | ছবি: ডিএইচ বাদলবাংলানিউজকে তিনি বলেন, এই সমস্যাটা মেলায় প্রতিবারই দেখা যায়। মেলার প্রায় এক সপ্তাহ শেষ হয়ে যায়, তবুও মেলার স্টলগুলোতে মেলা কর্তৃপক্ষ স্টল নম্বর লাগিয়ে দেয় না। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত। এতে সাধারণ দর্শনার্থীদের খুব বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

মেলায় ভাষাচিত্র, কথামেলা প্রকাশ, মনন প্রকাশ, সাহিত্য প্রকাশ, ধ্রুপদসহ বিভিন্ন স্টলে দেখা যায় সেসব স্টলে এখনো নম্বর প্লেট লাগেনি। এসব স্টলের বিক্রয়কর্মীরা জানান, মেলার এক সপ্তাহ শেষের দিকে। একাডেমি কর্তৃপক্ষ এখনো স্টল নম্বর লাগিয়ে দেয়নি। আমরা যারা এটাকে একটু গুরুত্ব দিয়েছি তারা নিজেরাই নিজেদের ব্যানারে স্টল নম্বর লিখে দিয়েছি।

বই বিক্রেতারা জানান, মানুষ যতটুকু বইয়ের খোঁজ নিতে আসছে, তার চেয়ে বেশি জিজ্ঞাসা করছে অমুক স্টলটি কোথায়? বড় স্টলগুলো জানতে পারছে মানুষ, কিন্তু ছোট স্টলগুলো নম্বর ধরে বের করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে মেলার সদস্য সচিব জালাল আহমেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আশা করছি আজকের মধ্যেই মেলার সবগুলো স্টলে স্টল নম্বর লাগিয়ে দেওয়া হবে। স্টল খুঁজতে দর্শনার্থী এবং বইপ্রেমীদের আর খুব বেশি কষ্ট করা লাগবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।