ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

কবিতা

আশরাফুল কবীরের দুটি কবিতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
আশরাফুল কবীরের দুটি কবিতা ...

এ’পাশের বাড়িটা তমালিকার আর ও’পাশের
বাড়িটা রাজ-জুয়ারির;
অনেক আকাঙ্ক্ষা আর তীব্র ইচ্ছেতে ভরপুর

এখনো কেউ ডাকে নিমীলিত চোখে

এ’পাশের বাড়িটা তমালিকার আর ও’পাশের
বাড়িটা রাজ-জুয়ারির;
অনেক আকাঙ্ক্ষা আর তীব্র ইচ্ছেতে ভরপুর
তেতে থাকা চৈত্রের উঠোন; ফুরসতে 
অপার্থিব আর অলৌকিক পুণ্ডরীক কিছু পাওয়ার আশায়
অপেক্ষায় থাকে বহুদিন।

এমনি ফুরোয় সকাল, এমনি ফুরোয় বিকেল
এমনি-এমনি রোজ ফুরিয়ে যায় পঁয়ত্রিশটি দুপুর
অনেকটা কাছাকাছি এসেও কিছু বলতে গিয়ে 
থমকে দাঁড়ায় উচ্ছ্বসিত নূপুর; অবলীলায় 
রাতের মুঠোতে পুরে যায় নিস্তরঙ্গ ঘোর।

ধীরে ধীরে তমালিকার ছায়া হেলে যায়
ভারবাহী বুক খুলে দেয় মেঘেদের ডাকবাংলো
তরতরিয়ে বেড়ে উঠে শস্যের কলেবর
অতঃপর বৃষ্টি নামে কবিতা হয়ে; 
বাড়তে থাকে কবিতার বহর
চিত্রনাট্য টুকে রাখে জুয়ারি ও তার নোটবুক
ক্যাফেতে নামে ঢল।

হিরণ্যমাখা দুপুরে কে শুধোয়?
এ’পাশের বাড়িটা ছিলো তমালিকার 
আর ও’পাশের বাড়িটা ছিলো জীবন-জুয়ারির
পূর্ণেন্দুতে একাকার শুধু সমীকরণে রয়ে যায় 
সন্ধি-বিচ্ছেদের প্রচণ্ড ভুল!


প্রহর

ফিরছি বহু বছর পরে 
আবছা হতে থাকা বাড়িটার সদর-দরজায়।
এখনো সেই নিরেট দেয়ালের চত্বর! 
হারিয়েছে হাড়-গোড়, কুঁড়িভরা হৃৎস্পন্দন;
কড়া নেড়ে চলে কিছু চকমকি পাথর,
লুপ্ত হয়ে যাওয়া শ্রবণ!
আজো মৃদু বাতাসের অপেক্ষায় থাকে 
এক জরাজীর্ণ ভেন্টিলেটর! 
শুধুমাত্র আড়ালে পড়ে রয় দু-এককথা; কিয়ৎ
পাহারাবিহীন সারিবদ্ধ প্রহর।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।