ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

খুলনা বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
খুলনা বইমেলায় উপচেপড়া ভিড় খুলনা বই মেলায় পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের ভিড়/ ছবি: মানজারুল ইসলাম/বাংলানিউজ

খুলনা: দল বেধে তরুণ-তরুণীদের আড্ডা, বই নাড়াচাড়া, বই কেনায় জমে উঠে খুলনার একুশে বইমেলা। মহানগরীর বয়রা এলাকার বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থগার প্রাঙ্গণের মাসব্যাপী মেলায় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের চিত্র ছিল এমনই।

ছুটির দিন হওয়ায় সরকারি চাকরিজীবীদের পদচারণাও ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত বইমেলা শনিবার ছুটির দিনে ছিল জমজমাট। সকাল থেকেই ক্রেতা-পাঠকের আগমনে মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। কেউ কিনছেন বই, কেউ বা দেখছেন ঘুরে ঘুরে। নতুন বইয়ের সমারহে মেলার প্রায় সব স্টল ছিল ভরপুর। নতুন বইয়ের নানা রংয়ের অঙ্গসজ্জার আকর্ষণীয় প্রচ্ছদের সম্মিলন মেলায় দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সব বয়সের মানুষ স্টলের সামনে দাঁড়িয়েই হাতে বই তুলে নিচ্ছেন।

পরিবার নিয়ে মেলায় বই কিনতে এসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক এএফএম হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় গিয়েছি আগে। সে তুলনায় খুলনায় একুশের বইমেলার আয়োজন অনেক ক্ষুদ্র, তাছাড়া নতুন বইয়ের সংগ্রহও অনেক কম। বইয়ের স্টল বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রকাশিত বইয়ের আয়োজন থাকলে খুলনার মানুষেরা সমৃদ্ধ হতো। বিশেষত শিশুদের জন্য চমকপ্রদ ও শিক্ষণীয় বইয়ের আয়োজন থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

বইমেলার বাক স্টলের স্বত্তাধিকারী সুলতান মাহমুদ শ্রাবণ বাংলানিউজকে বলেন, বইয়ের সঙ্গে মানুষের আত্মার সম্পর্ক। এবারের মেলায় গতবারের থেকে কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। বইমেলায় স্থান তুলনামূলক অনেক কম হওয়ায় মেলায় আগতদের চলাচল করতে সমস্যা হয়। আরও বড় পরিসরে বইমেলা আয়োজনের দাবি জানান তিনি।

বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ড. মো. আহসান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, বইপ্রেমীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠছে প্রতিদিনই মেলা প্রাঙ্গণ। তবে ছুটির দিনে মেলায় এতো ভিড় হয় যে হাঁটার মতো জায়গা থাকে না।

তিনি জানান, বই মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা, সাহিত্য সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরিসহ ৮৪টি স্টল রয়েছে। বইমেলা ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলছে। তবে ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলে।  

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন বিকেলে প্রবন্ধ ও কবিতা পাঠ, আলোচনা, নতুন লেখকদের বইয়ের মোড়ক উম্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইতোমধ্যে এ বই মেলায় শতাধিক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এমআরএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad