ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

বন ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
বন ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথিরা-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বনভূমি ধ্বংসের কারণে দেশে বৈচিত্র্যময় বন ও বন্যপ্রাণীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। এরইমধ্যে কমপক্ষে ১৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরও কয়েক প্রজাতি বিলুপ্তের পথে।

দেশের বৈচিত্র্যময় বন ও বন্যপ্রাণী ধ্বংস ও এর সঙ্গে জড়িত নানা বিষয় নিয়ে লিখেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান। ‘ফটোগ্রাফি গাইড টু দ্য ওয়াইল্ডলাইফ অব বাংলাদেশ' বইয়ের মাধ্যমে বন ও বন্যপ্রাণী নিয়ে তার গত ২০ বছরের পরিশ্রম তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

 

চ্যানেল আই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি প্রকাশ করেছে আরণ্যক ফাউন্ডেশন।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বইটি সম্পর্কিত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের লিখিত তথ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৩৮ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৬৯০ প্রজাতির পাখি, ১৭১ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৩৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী দেখা যায়। যার মধ্যে ৯৪ প্রজাতির বন্যপ্রাণী সারা পৃথিবীতে বিপন্ন। বাংলাদেশে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণের আইন থাকলেও এর প্রয়োগ নেই।

আরও বলা হয়, বইটিতে ৭৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫১৬ প্রজাতির পাখি, ১০৩ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৪৬ প্রজাপতির উভচর প্রাণীর ছবি, শনাক্তকারী তথ্য ও বাংলাদেশে এদের বিস্তার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে।  

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, বইটি অবশ্যই আমাদের কাজে লাগবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইটি ছড়িয়ে দিতে পারলে তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে।  

বইয়ের লেখক ড. মনিরুল এইচ খান বলেন, বিগত ২০ বছর ধরে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা দুই বছরে লিখে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। বইটি এমনভবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীর তথ্য ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এমএসি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।