হ্যালুসিনেশন ও মেঘের ফ্যান্টাসি
এটা হ্যালুসিনেশন, আর যে তুমি দার্শনিক করিডোরে হাঁটো তা সাইকিক ঘোর; ফলে আমি খুঁজতে থাকি আর খুব দূরবর্তী মনে হয় পরী ও বকুল; -এই নগর নেশা, যৌনতা, প্রেম ও প্রতারণা ফ্যালাসি মাত্র!
এই বর্ষায় তোমার কোনো পায়ের ছাপ দেখা যায় নি, অথচ বসন্ত, হে সুচিস্মিতা, শিমুলে লালে মুখটিপে হাসে;
এই তবে অভিজ্ঞান, মেঘের ফ্যান্টাসি হয়ে থাক; আর ওই সুউচ্চ চূড়ায় যেসব বরফ জমে আছে দীর্ঘকাল, তারা নাকি তোমার ফোটা ফোটা অশ্রুপ্রতিভা, বলেছে ভাসমান মেঘ;
আর আমি দেখছি লবণাক্ত হ্রদ-
তুমি বেড়াচ্ছ এলোমেলো লবণের ফুল হয়ে!
২৪ফেব্রুয়ারি ২০১১
বিষের দানা
এইখানে সোনার গহনা পড়ে আছে- আর তুমি পায়ে পায়ে দলে যাও, কুচুরিপুষ্পের দাম; বাতাস আজ প্রতিজ্ঞা করেছে মেঘের, আর তোমাকে দেখে দেখে কটাক্ষে হেসেছে- ফলে যে রচনা সাজাও তা অদূরবর্তী প্রেমে হাড়ের বেদনা হয়ে ঝুলে থাকে-
আমি তার নাকফুলে গেঁথেছি বিষের দানা,
তুমি তার অবাধ ঝংকার, প্রতারণা হয়ে বাজো!
২৩ফেব্রুয়ারি ২০১১
ছাল
আমি ভাবছি তোমার কথা, আর ওষ্ঠে জমা হতে থাকে সকল চুম্বন; আমিও গাছের ছালে করেছি মহৌষধ, একবার তোমাকে ছুঁয়ে ফেলে দেব সমস্ত শেকড়ের ভাব- তারপর কোনো অভীপ্সা নেই, কেবল সিঁড়ি বেয়ে তোমার উঠানামা দেখে হাসি পায়;
তুমি ভাবছ সাইকিয়াট্রি, অসামান্য লবণ কেমন অগোচরে তোমাকে তিক্ত করে- আর গোপনে সেইসব সিম্বলিক ছবি আঁকে যারা বাৎসায়ন বোঝে, আর রোমকুপে জমতে থাকে গনগনে উত্তাপ, ঘামে;
ভাবছি : গাছের ছালে যেসব নাম লেখা আছে, তাদের অগোচরে, লালাসিক্ত ওষ্ঠে বিষ ও চুম্বন এঁকে দিয়ে মরে যাই!
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১
বিচলিত বাষ্পীয় ইঞ্জিন
তোমাকে ভাবছি, আর চাঁপা চাঁপা ঘ্রাণ- চোখের দূরত্ব সমান যে বিভেদ তা পরিহাসময়! আর তুমি সন্ধ্যার ট্রেনে পাতার পরিচয় জেনে আপেলবাগানে যাও, ফলে যে মুগ্ধ নয়ন ডেকে আনে ঝড়, বিচলিত হয়ে আমি তার মোকাবেলা করি, আর ভাবি বাষ্পীয় ইঞ্জিন কেন এত সংশয়ে হারায়!
অমীমাংসিত ঘ্রাণের সকল প্রতারণা জেনেছে আপেল বহুকাল আগে- অগোচর আঙুল ও স্তনের গোপনতা।
ঘ্রাণের দূরত্বে তাই পাখা হয়ে উড়ি, জানি না, উড়ালসর্বস্ব এই সচিত্র প্রাণবিভাগ কেন এত ওঠানামা করে!
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১
অনতিদূরে নৈশপ্রহরী
রঙ উদাস হয়, অথচ নৈশপ্রহরী দাঁড়িয়ে থাকে, অনতিদূর।
তুমি একা বাড়ি যাও, নৈশপ্রহরী দাঁড়িয়ে থাকে, একা, অনতিদূর।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১
আহমেদ স্বপন মাহমুদ
কবি, প্রাবন্ধিক
বাংলাদেশ সময় ১৩১০, জুন ২৮, ২০১১
।