ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

চলে গেলেন কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১১
চলে গেলেন কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত

কলকাতা: আশির দশকের বাংলা আধুনিক কবিতার অন্যতম নারী কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত শনিবার মারা গেছেন। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।



তার স্তন ক্যানসার হয়েছিল। এর জন্য তিনি অস্ত্রোপচারও করিয়েছিলেন। কিন্তু বছর খানেক আগে তার ক্যানসার ফুসফুসে সংক্রমিত হয়। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৭ মে মল্লিকা হাসপাতাল থেকে নিজের সিরিটি হাউজিংয়ের অ্যাপার্টমেন্টে চলে আসেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল জীবনের শেষ কটি দিন নিজের ঘরে কাটাবেন।

সেই ইচ্ছাই তার পূরণ হল। শনিবার ভোর ৫টা ৪৬ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।

মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে অসংখ্য গুণগ্রাহী তার বাসভবনে এসে উপস্থিত হন সকালে। আসেন কবি-সাহিত্যিকরাও। রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাকে শ্রদ্ধা জানান।

বেলা সাড়ে ১১টায় তার মরদেহ আনা হয় কলকাতার রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গণে। এখানে তাকে শ্রদ্ধা জানান অগণিত মানুষ।

কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত জন্ম ১৯৬০ সালে ২৭ মার্চ, নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে। আশির দশকে তার কবিতার জগতে প্রবেশ। বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী মল্লিকা কবিতা লেখার পাশাপাশি কলকাতার মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে সমাজতত্ত্বের অধ্যাপিকা ছিলেন।

দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আনন্দবাজার গোষ্ঠীর  নারীবিষয়ক জনপ্রিয় পাক্ষিক ‘সানন্দা’র কবিতা বিভাগের সম্পাদক ছিলেন।

তার স্বামী কবি সুবোধ সরকারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ভাষানগর’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা। আমৃত্যু এই পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন মল্লিকা। লিখেছেন ২০টি কাব্যগ্রন্থ এবং ২টি উপন্যাস।

মল্লিকার প্রথম কবিতার বই ‘চল্লিশ চাঁদের আয়ু’ যখন বের হয় তখন তার বয়স মাত্র ২৩ বছর।

তার লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল, ‘আমি সিন্ধুর মেয়ে’, ‘হাঘরে ও দেবদাসী’, ‘মেয়েদের অ আ ক খ’, ‘আমাকে সরিয়ে দাও ভালবাসা’, ‘মল্লিকা সেনগুপ্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ইত্যাদি। উপন্যাস দুটি হলো ‘সীতায়ন’ (১৯৯৫) ও ‘শ্লীলতাহানির পরে’ (১৯৯৬)।

তার মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে কলকাতার সাংস্কৃতিক মহলে।

ভারতীয় সময় ১৫০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।