ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

রবীন্দ্রনাথের ছোট কবিতা

সুব্রত কুমার দাস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১
রবীন্দ্রনাথের ছোট কবিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশাল রচনাবলির সাগরে ছোট আকারের কবিতার সংখ্যা কম হলেও নগণ্য নয়। চিন্তাউদ্রেককারী অসাধারণ সেসব কবিতার প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে বর্তমান লেখার একটি প্রেক্ষাপট বলা দরকার।



সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কাজ করার কারণে টেবিলজুড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : তাঁর রচনাবলি, পত্রাবলি, জীবনী, আলোচনা-সমালোচনা। দরকারমতো নাড়াচাড়া করছি, দরকার ছাড়াও কখনও কখনও হাতে নিচ্ছি এটা-সেটা। এরই ভেতর একদিন সোফায় গা এলিয়ে দেখছিলাম Fireflies । বছর দশেক আগে ভারতের রূপা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আমার সংগৃহীত কপিটি। প্রতি পৃষ্ঠায় একটি করে কবিতা, দুই-তিন লাইনের। এক লাইনেরও আছে। কোনো কোনোটি চার/পাঁচ/ছয় লাইনেরও। তবে কিছু পৃষ্ঠায় কোনো কাব্যপঙক্তিই নেই। তবে পৃষ্ঠাটি ফাঁকাও নয়। আছে অলঙ্করণ। হ্যাঁ, বইটির প্রতিটা পৃষ্ঠাতেই অলঙ্করণ। ওপরে পৃষ্ঠাজুড়ে বড় একটা, নিচে ছোট, মাঝখানে। বইটির মোট ২৬৭ পৃষ্ঠায় এ অলঙ্করণ। সবকটাই কি আলাদা আলাদা? মেলাতে পারি না। মনে হয় ২৬৭টি নতুন নতুন ছবি। এঁকেছিলেন জন্মসূত্রে ইউক্রেনের নাগরিক Boris Artzvbasheff (১৮৯৯-১৯৬৫)। এ তো গেল ছবির আকর্ষণ। এবার আসি কাব্যে। এক লাইনের একটি দিয়ে শুরু করি। ৪৭তম পৃষ্ঠায় আছে ÔGods, tired of their paradise, envy man’। বারবার পড়ছি। ভাবছি এ পঙক্তির লেখক কি ঈশ্বর বিশ্বাসী! নাকি অবিশ্বাসী রবীন্দ্রনাথ রঙ্গ করেন ঈশ্বর নিয়ে। আবার এও মনের কোণে জাগে, এমন ভাবনা এলো কী করে সাদা লম্বা চুলের ওই মাথায়! নাকি শুধু ওই মাথাতেই আসতে পারে এমন ভাবনা যার কারণে তিনি নন্দিত, সাধশত জন্মবর্ষে ইউনেস্কোর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বন্দিতও। আশ্রয় নিলাম দুজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের যাঁরা রবীন্দ্রচর্চায় ব্রতী। বুঝতে  পারি ইংরেজি Fireflies স্বরূপে সকল সৌন্দর্যের ভাণ্ডার নিয়ে তাঁদের দোরে পৌঁছেনি। পরম্পরাও খুব স্পষ্ট নয় তাঁদের কাছে।

২০০১ সালে লন্ডন থেকে রবীন্দ্র-অনুবাদক বাংলা সাহিত্যের অনুরাগী উইলিয়াম রাদিচের Rabindranath Tagore, Particles, Jottings, Sparks, the Collected Brief Poems বইটি তো আমাদের কারো কাছেই পৌঁছায়নি! অনলাইন পত্রিকা www.parabaas.com-এ রাদিচের বইটির প্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘ একটি আলোচনা প্রকাশ করেছিলেন কেতকী কুশারী ডাইসন। মনে হলো পাঠকদের কেউ কেউ আমার মতো কমপাঠী হতে পারেন, জানা নেই রবীন্দ্রনাথের ক্ষুদ্র কবিতার পূর্বাপর। সেই পাঠকের  জন্যই এ লেখা।

Fireflies-এর অনেক কবিতা আমাকে নাড়ায়। কেমন এক ঘোরের ভেতর আটকে রাখে। কিন্তু নিজেকে সম্বরণ করি। সারা বইয়ে একটা দাগও দিতে পারি না, যে আমি বই হাতে নিতে হলেই আগেভাগে কলম-পেন্সিল খুঁজতে থাকি। কিছু লাইন যেন চমকায় :

Love is an endless mystery
for it has nothing else to explain it.

বা
The wise know how to teach
the fool how to smite.

বা  
The wise know how to teach
the fool how to smite.


এমন কত লাইনে Fireflies আলোকিত। ১৯২৮ সালে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত এ বইটির শুরুতে একটি বাক্যে কিন্তু কবি বলে দিয়েছিলেন : ÔFireflies had their origin in China and Japan where thoughts were very often claimed from me in my hand writing on fans and pieces of silk’। যদিও জাপানের রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণের কথা বলি, তিনি সূর্যোদয়ের দেশটিতে যান মোট পাঁচবার – প্রথমবার ১৯১৬ সালে, শেষবার ১৯২৯ সালে। আর চীনে কবির ভ্রমণ একবার, ১৯২৪-এ। অটোগ্রাফ-শিকারিদের সিল্ক কাপড় বা হাতপাখায় কবির লেখা লাইনগুলো নিয়ে প্রকাশিত Fireflies-এর প্রথম ফ্ল্যাপে বলা আছে যে, ১৯২৬ সালে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত লেখন-এ ‘Fireflies’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন কবি। আবার এই বলা তারও আগে আছে Stray Birds । আর মৃত্যুর পরবর্তীকালে কবির এমন সব ছোট ছোট কাব্যগন্ধী বাক্যগুলোর সমন্বিত রূপ হলো স্ফুলিঙ্গ। কিন্তু আমাদের তো জানা আছে কণিকার কথাও।

দেখা যাক কণিকার দিকে চোখ ফিরিয়ে। ১৮৯৯ সালে প্রকাশিত সে গ্রন্থে তেমন ছোট-বড় ১১০ কবিতার সমাহার। শিরোনামযুক্ত। সবচেয়ে ছোটগুলো দুই লাইনের, সবচেয়ে বড়গুলো বারো লাইনের। মজার ব্যাপার হলো, রবীন্দ্রনাথের অনুরাগী নন এমন পাঠকও সে সব কবিতার কোনো কোনোটি বিষয়ে বেশ অবগত। চিরন্তন সত্যের সেগুলোর কোনো কোনোটি জ্ঞানবর্ধক, কখনো বা নীতি শিক্ষণীয় যে সব পঙক্তি আমাদের চারপাশে মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যায়। ‘শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির,/লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির’ (ক্ষুদ্রের দম্ভ); ‘কেরোসিন-শিখা বলে মাটির প্রদীপে,/ভাই বলে ডাক যদি দেব গলা টিপে...’ (কুটুম্বিতা-বিচার); ‘নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস,/ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস...’ (মোহ) বা ‘উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে,/তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে’ (মাঝারির সতর্কতা) এমনই সব উদাহরণ। কণিকায় চোখে বুলিয়ে  লেখন-এ গেলে বুঝতে সমস্যা থাকে না যে, এমন কবিতা লেখার মকশো রবীন্দ্রনাথ আগে থেকেই করেছিলেন।

নিউ ইয়র্ক থেকেই ১৯১৬ সালে ছাপা হয়েছিল Stray Birds। ম্যাকমিলান এ বইটিরও প্রকাশক। বইয়ের নামপত্রের উল্টোদিকে জন্মসূত্রে হাঙ্গেরিয়ান শিল্পী ডরষষু চড়মধহু-র (১৮৮২-১৯৫৫) ছবি দিয়ে ছাপা সে বইতে রয়েছে ৩২৬টি প্রবচন। উৎসর্গ করা হয়েছে ইয়োকোহামার টি হারাকে। শুরু হয়েছে যে স্তবক দিয়ে সেটা হলো :

Stray birds of summer come to my window to sing and fly away
And yellow leaves of autumn, which have no songs, flutter and fall there with a sigh.

গ্রন্থটির অসংখ্য সুখপাঠ্য ক্ষুদ্র কবিতায় কয়েকটি এমন :

If you shed tears when you miss the sun, you also miss the stars. (6)
What you are you do not see, what you see is your shadow. (18)
The dry river-bed finds no thanks for its past. (34)
We read the world wrong and say that it deceives us. (75)
শেষ হয়েছে একটি সমাপ্তিসূচক পঙক্তি দিয়ে। বোঝা যায় সচেতনভাবে কবি সেটিকে রচনা করেছেন। শেষ পঙক্তিটি হলো:
Let this be my last word, that I trust in thy love.

লেখন বইটি কি বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়? জানি না। আমার সবেধন নীলমণি ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলী। সপ্তম খণ্ডের পরিশিষ্টে লেখন  সম্পর্কে দেওয়া অংশে রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রায় চার পৃষ্ঠার একটি অংশ যুক্ত হয়েছে। ১৩৩৫ সালের কার্তিক সংখ্যায় সেকালের প্রসিদ্ধ সাহিত্য পত্রিকা প্রবাসীতে সেটি ছাপা হয়েছিল। ছোট কাব্যের অমর্যাদা যে জাপানে নেই সে বিষয়ে লিখেছেন তিনি। বলেছেন, স্বাক্ষরলিপির দাবি মেটাতে মেটাতে এমন ছোট কাব্যে একসময় রস পেয়ে গেলেন তিনি নিজে।

লেখন-এর শুরুর পৃষ্ঠাতে দেখছি প্রথমে বাংলা, পরে ইংরেজি। যাঁরা লেখন-এর প্রথম দিককার সংস্করণ দেখেছেন তাঁদের ভাগ্য আমাদের মত কীটদষ্ট নয়। আমরা জানি না, সে সংস্করণে সব কটি কবিতাই কবির হাতের লেখার সৌন্দর্যের আকর্ষণে পরিপূর্ণ ছিল কি না। আমাদের জানা নেই সেটিতে সব কটি বাংলা কবিতারই ইংরেজি দেওয়া হয়েছিল কি না। রচনাবলীতে প্রথম সংস্করণের ভূমিকা, প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে মাত্র। প্রথম পৃষ্ঠার শুরুতে কবির হাতের লেখায় রয়েছে ‘স্বপ্ন আমার জোনাকি...’ যার ইংরেজি রূপ কবি দিয়েছিলেন ‘My fancies are fireflies...’। দ্বিতীয় কবিতাটি লেখন-এর আদর্শকে সূচিত করে :
আমার লিখন ফুটে পথধারে
ক্ষণিক কালের ফুলে,
চলিতে চলিতে দেখে যারা তারে
চলিতে চলিতে ভুলে।

লেখন-এ কবিতার শিরোনাম দেওয়া হয়নি। তবে প্রতিটি স্তবকের একটি সংখ্যা নির্ণায়ক আছে। মোট সংখ্যা ১৮৯। ছোট ছোট এমন সব রচনা যে কত চিন্তাউদরেককারী হতে পারে লেখন তার প্রমাণ। ‘দেবমন্দির আঙিনায়তলে শিশুরা করেছে মেলা। /দেবতা ভোলেন পূজারি-দলে, দেখেন শিশুর খেলা’ (১৪) বা ‘ভগবান চান প্রেম দিয়ে তাঁর/গড়া হবে দেবালয়,/মানুষ আকাশে উঁচু করে তোলে/ ইট পাথরের জয়’ (২৩) এমনই সব উদাহরণ।

এবার আসি স্ফুলিঙ্গ-র কথায়। রচনাবলী-র দিকে ফেরা যাক। চতুর্দশ খণ্ডে যে স্ফুলিঙ্গ  তার দৈর্ঘ্য ৫০ পৃষ্ঠা। আছে ২৬০টি কবিতা। শুরুর পূর্বে কবির হাতের লেখায় বহু প্রচারিত সে পঙ্ক্তি : ‘¯ফুলিঙ্গ তার পাখায় পেলো/ক্ষণকালের ছন্দ। /উড়ে গিয়ে ফুরিয়ে গেলো/সেই তারি আনন্দ’, যেটি লেখন থেকে নেওয়া। লেখন প্রকাশের আগে এর নাম স্ফুলিঙ্গ করার কথা ভাবা হয়েছিল। তাই ১৯৪৫ সালে কবির জন্মদিনে ছোট কবিতাগুলোর একটি নতুন সংকলন যখন প্রকাশ করা হয় তখন তার নাম রাখা হয় স্ফুলিঙ্গ। বহুজনের কাছ থেকে সংগৃহীত কবির কবিতাগুলোকে এ বইতে প্রথম লাইনের বর্ণনাক্রমে সাজানো। এ সংকলনেই ছিল ‘প্রেমের আনন্দ থাকে/শুধু স্বল্পক্ষণ,/প্রেমের বেদনা থাকে/সমস্ত জীবন’ (১৪৩), ‘সুখেতে আসক্তি যার/আনন্দ তাহারে করে ঘৃণা। /কঠিন বীর্যের তারে/বাঁধা আছে সম্ভোগের বীণা’ (২৪২)-এর মতো চিত্তাকর্ষক কাব্যপঙক্তি।


রচনাবলী-র ষোড়শ খণ্ডে আবারও স্ফুলিঙ্গ। কোনো কোনোটির নিচে রচনাকাল মুদ্রিত। এটিতে প্রথম লাইনের বর্ণনাক্রমকে আশ্রয় করে সাজানো। এবারে সংখ্যা ১২৯। ১৭ সংখ্যক কবিতাটি দেখছি ‘আয় চলে আয়, রে ধূমকেতু...’ যেটি কবি লিখেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা ধূমকেতুর উদ্বোধনী সংখ্যার জন্য। কিছু কিছু কবিতার অন্তর্নিহিত অর্থ এত গভীর যে সেগুলোকে সহজেই প্রবাদবাক্যের মতো করে ব্যবহার করা যায়। ‘তলোয়ার থাকে/সংক্ষেপে তার খাপে। /গদার গুরুতা/ শুধু তার মোটা মাপে’ (৪৫) এমনই এক উদাহরণ।

সপ্তদশ খণ্ডে দেখছি আরেকটি স্ফুলিঙ্গ। ৭৩টি ছোট-বড় কবিতা। বিভিন্ন জনের উদ্দেশে বিভিন্ন সময়ে লেখা। সে-জনদের ভেতর যেমন জাপানি শিল্পী ইয়োকো ইয়ামা টাইকান বা কাম্পো আরাই আছেন, তেমনি আছেন সীতা দেবী, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ, অপূর্বকুমার চন্দ প্রমুখ। কোনোটি কারো বিয়ে উপলক্ষে লেখা, কোনোটি আবার বিবাহবার্ষিকের জন্য। অন্যদিকে কোনোটি আবার রচিত হয়েছে অকালপ্রয়াত কারো স্মৃতির উদ্দেশ্যে। এই স্ফুলিঙ্গ কবিতাগুলো কবির জনযোগাযোগের একটি চিত্রও বটে। এগুলোতে রয়েছে হাস্যকৌতুক। শুভকামনার নির্মল প্রকাশও ঘটেছে অনেকগুলোতে। ১৯৩৯ সালে একবার নিরুপমা দেবী  রবীন্দ্রনাথকে নিজ হাতে বানানো আমসত্ব ও একটি কবিতা লিখে পাঠালে কবি উত্তরে লিখেছিলেন :
পাঠালে যে আমসত্ব
জানি না গো তার তত্ত্ব
শুধু কি তাতে আমেরি রস রহে?
যতন করি কোমল হাতে
মিশায়ে দিলে তাহারি সাথে
সে সুধারস দৃশ্য যাহা নহে। ...


রবীন্দ্রনাথের বিপুল রচনাভাণ্ডারের একটি সিংহভাগ তাঁর কাব্য প্রয়াস। সে প্রয়াসের নিরিখেই কবির দর্শন আর অগ্রযাত্রা চিহ্নিত। সে চিহ্নায়নে কবি রচিত কণিকা, লেখন বা স্ফুলিঙ্গ ব্যাপকভাবে মূল্যায়িত নয়। বাংলা ভাষায় রচিত সে গ্রন্থরাজির সাথে ইংরেজিতে রচিত Stray Birds Ges Fireflies-কে একসাথে করে দেখলে স্পষ্ট হয় প্রবচনের মতো কত বহু পঙক্তি রচিত হয়েছিল রবীন্দ্র-কলমে। পাঁচটি শিরোনামে রচিত প্রকৃতপক্ষে সাতটি গ্রন্থের ক্ষুদ্রায়তন কবিতার বিপুল রাশিতে উচ্চারণযোগ্য স্নিগ্ধ সেসব পঙক্তিও কবি রবীন্দ্রনাথের একটি অন্যতম প্রধান পরিচয়। এ কথা সত্য, রবীন্দ্রনাথ শুধু স্ফুলিঙ্গ বা লেখন বা কণিকা লিখলে তিনি রবীন্দ্রনাথ হতেন না, কিন্তু বিশাল রবীন্দ্রনাথের ব্যাপকতায় এ গ্রন্থগুলোও কম সুখপাঠ্য নয়।

ক্যাপশন
১. Stray Birds- এ ব্যবহৃত Willy Pogany-র আঁকা  ছবি।
২. লেখন-এর রবীন্দ্র-রচিত ভূমিকা পৃষ্ঠা।
৩. Fireflies-এ ব্যবহৃত Boris Artzybasheff-এর আঁকা ছবি।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৪০, মে ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad