দ্রোহ ও দেশপ্রেমে গণমানুষকে উজ্জীবিত করতে কবিতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে সদাজাগ্রত কবিদের মতো তাদের অমর সৃষ্টি কবিতাগুলো মানুষকে আন্দোলিত করেছে, উদ্বেলিত করেছে।
এ বছর উদযাপিত হচ্ছে স্বাধীনতার ৪০ বছর। এ উপলক্ষে বাংলা নবর্ষকে সামনে রেখে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘জাগরণ সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র’ প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কবিতার সিডি ‘তোমার পতাকা যারে দাও’।
এর আগে ‘জাগরণের গান’ নামে গণজাগরণের কালজয়ী গানের দুটি বৃহৎ অ্যালবাম প্রকাশ করে দেশ ও দেশের বাইরে সুপরিচিতি লাভ করেছিল ‘জাগরণ সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র’।
‘তোমার পতাকা যারে দাও’ আবৃত্তির সিডিতে স্থান পেয়েছে বাংলা সাহিত্যভা-ারকে সমৃদ্ধ করা বিভিন্ন স্বদেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কবিতা। এই কবিতাগুলোর অনেকগুলি যেমন লিখিত হয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আগে, তেমনি কোনো কোনোটি লিখিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে।
এখানে রয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, আবুল হোসেন, আহসান হাবীব, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আসাদ চৌধুরী, রফিক আজাদ, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, আবুল হাসান, মুহম্মদ নূরুল হুদা, হুমায়ুন কবির, সানাউল হক খান, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, নাসিমা সুলতানা প্রমুখ কবির দেশাত্মবোধক কবিতা।
কবিতাগুলি আবৃত্তি করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রজ্ঞা লাবণী, বেলায়েত হোসেন, ডালিয়া আহমেদ।
দেশের স্বনামধন্য কবি ও আবৃত্তিশিল্পীদের এই যুগলবন্দি কবিতার বিদগ্ধ শ্রোতাদের নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।
এই আয়োজনের প্রাককথনে আছেন কবি আসাদ চৌধুরী, আবহ সঙ্গীতে শাহীন সরদার এবং প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন মোস্তফা জাহিদ খান।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫০, এপ্রিল ১২, ২০১১