ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

শিল্পী মুকুল দাসকে নিয়ে ‘মুকুল সন্ধ্যা’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৪
শিল্পী মুকুল দাসকে নিয়ে ‘মুকুল সন্ধ্যা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কথা, গান, কবিতা, আড্ডায় প্রাণ জাগানিয়া আয়োজনে ঢাকার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে সম্মাননা জানানো হলো সঙ্গীত শিল্পী, অভিনেতা ও সুরকার মুকুল দাসকে।

আরণ্যক নাট্যসংস্থার এক সময়ের অভিনয় শিল্পী মুকুল দাস রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন পরিষদ, উদীচীর বরিশাল সংসদ, বরিশাল নাটক, খেলাঘরসহ বিভিন্ন সংগঠনের সংগঠক-কর্মী হিসেবে সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় নিবেদিত প্রাণ এক মানুষ।



রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যেই শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) তার সম্মানে আয়োজিত ‘মুকুল সন্ধ্যা’য় ছায়ানট মঞ্চে গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেন শ্রোতা-দর্শকদের।

মুকুল দাসের বন্ধু-সুহƒদদের আয়োজনে নাট্য অভিনেত্রী কাজী রুমার ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে এই শিল্পী-সংস্কৃতিজনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন কবি আসাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠান স্মারক তুলে দেন আরেক সাংস্কৃতিক সংগঠক বদিউর রহমান। শুভেচ্ছা উপহার দেন মো. শাহ নেওয়াজ। মানপত্র পাঠ ও প্রদান করেন নাট্যাভিনেতা অনন্ত হীরা।

শিল্পী মুকুল দাসের সহধর্মিণী তাপসী সমদ্দারকে শুভেচ্ছা স্মারক দেন অ্যাডভোকেট মোর্শেদা লিপি। এছাড়া অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, চিত্রশিল্পী মুনীরুজ্জামান, নাট্যকর্মী সুকৃতি মুখার্জী ডেভিট, ছড়াকার রবীন আহসান শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

মুকুল দাস ছাড়াও অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিল্পী সুনীল ঘোষ, হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, দীপু সমদ্দার দিপ্তী, লুৎফুন নাহার পাখি।
তবলায় ছিলেন রঞ্জন গুদা ও মিঠু বর্মন।

কবিতা শোনান আবৃত্তিকার মাসুদুজ্জামান। আয়োজকদের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন তৌফিক মারুফ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আরিফ রহমান ও মোশরেফা মিলি।

কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, আজকাল অনেক ক্ষেত্রে নিভৃতে থাকা গুণী শিল্পী-সংস্কৃতিবান মানুষদের সম্মান জানানো হয়ে ওঠে না। অনেকে আজীবন সংস্কৃতির সঙ্গে কাটিয়ে দিয়েও রয়ে যান আড়ালে।

বদিউর রহমান বলেন, মুকুল সন্ধ্যা বলতে কেবল মুকুল দাসের সঙ্গীত আয়োজন মনে হলেও একজন শিল্পীর সামগ্রিক দিক নিয়ে একটি সন্ধ্যা সম্মাননা-আড্ডা-আনন্দে কাটিয়ে দেওয়ার আয়োজন ভিন্ন এক মাত্রা তৈরি হলো।
 
শিল্পী মুকুল দাস বলেন, সংস্কৃতি চর্চার শুরুটা পরিবার থেকে। যে মানুষের মধ্যে শুদ্ধ ও সুস্থ সংস্কৃতির ধারা বইবে তার মধ্যে কোনো ধরনের অকল্যাণ চিন্তা-চেতনার জায়গা থাকে না। তাই প্রত্যেকটি পরিবারেই শুদ্ধ সংস্কৃতির বীজ রোপিত হওয়া দরকার। এর মাধ্যমে দেশ-মানুষ-সমাজের মঙ্গল বয়ে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad